মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানের প্রতি ভালোবাসা কারুর অজানা নয়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী গান লেখা ও সুর করার সময় বার করে নেন! মহালয়ার সন্ধ্য়াতেই সামনে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অঞ্জলি’। এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বছরের পুজোর অ্যালবাম।
প্রত্যেক বছর মহালয়ার দিন দলের মুখপত্র জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যা প্রকাশ করার পাশাপাশি নিজের গানের অ্যালবাম লঞ্চ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সেই ট্রেন্ড বজায় থাকল এই বারেও। অ্যালবামে মোট দশটি গান রয়েছে। অ্যালবামের প্রথম গানটি এদিন নিজে গেয়ে শোনালেন মমতা।
'গলা ধরা' এই বলে শুরুতে মঞ্চে গান গাইতে অস্বীকার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নাছোড়বান্দা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। বলেই ফেললেন, ‘দিদি হাতে মাইক ধরলেই সব গলা ঠিক হয়ে যাবে! মমতা বলেন, ‘আমার গলা বসা, সারাক্ষণ লেকচার দিয়ে বেড়াই। এটা অ্যাবলামের প্রথম গান, আমি দু-লাইন গাইব, বাদবাকিটা শ্রীরাধা গাইবে।’
কি-বোর্ডে সুর ছাড়াই গাইলেন মমতা। ‘আমার আড়ালে, আমার আবডালে অঞ্জলি লয়…..’, খালি গলাতেই গাইলেন দিদি। সাক্ষী থাকলেন শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, স্বরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেনরা। যদিও মমতার এই গান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের বন্যা। কেউ বিদ্রুপ করে লিখলেন, ‘কোকিল কন্ঠী পুরো’। কেউ আবার বলল, ‘উফ শ্রেয়া ঘোষাল লজ্জা পাবে’। তবে দিদির প্রশংসকের সংখ্যাও কম নেই। অনেকেই লিখেছেন, ‘দিদি তুমি সত্যিই অনন্যা। সবকিছুই করতে পারো’।
এবারের মমতর পুজো অ্যালবামে গলা মিলিয়েছেন নচিকেতা, ইন্দ্রনীল সেন, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, অদিতি মুন্সি, দেবজ্যোতি বসুর মতো টলিপাড়ার নামীদামী শিল্পীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন নিজেই জানিয়েছেন সরকারি প্রকল্পের গান বাদ দিয়ে, তাঁর মোট ১৩০টি মৌলিক গান রয়েছে।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলেন পুজো কেন করব। আমরা মনে করি সবাইকে নিয়ে চলায় একটা প্রাণ আছে। অনেক বড় বড় পুজো কলকাতায় হয়৷ অনেক ভাল পুজো জেলায় হচ্ছে৷ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রাখুন৷ প্রবীণ, শিশু ও মহিলাদের দিকে বেশি করে নজর রাখুন।’