সোমবার সকালেই নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন বিশিষ্ট পরিচালক তরুণ মজুমদার। অভিভাবক হারালো বাংলা বিনোদন জগত। গত মাসের ১৪ তারিখ কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তারপর থেকে চলছিল লড়াই। অবশেষে হার মানলেন ‘জীবনপুরের পথিক’। তবে পরিপূর্ণ জীবন বেঁচেছেন তিনি। নিজের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে আজীবন বাঙালির মনে ঘর করে থাকবেন তিনি।
তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘ভিন্নধারার রুচিসম্মত সামাজিক চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ মজুমদার উজ্জ্বল নিদর্শন রেখে গেছেন। তাঁর ছবিতে রবীন্দ্রসংগীতের প্রয়োগ দর্শককে আবিষ্ট করে রাখে।’
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বরাবরই মমতা-বিরোধী মুখ হিসেবে দেখা গিয়েছে তরুণ মজুমদারকে। সেই বিভাজন দূরে সরিয়ে রেখে বর্ষীয়ান পরিচালকের খোঁজ নিতে কিছুদিন আগেই এসএসকেএম-এ হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি লেখেন,'তরুণ মজুমদার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র , বালিকা বধূ, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, দাদার কীর্তি, ভালবাসা ভালবাসা, সংসার সীমান্তে, গণদেবতা, শহর থেকে দূরে, পথভোলা, চাঁদের বাড়ি, আলো ইত্যাদি উল্লেখের দাবী রাখে।…. তাঁর প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তরুণ মজুমদারের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'
সোমবার বেলা ১১.১৭ মিনিটে ‘ভালোবাসার বাড়ি’ ছেড়ে চলে গেলেন তরুণ মজুমদার। ১৯৫৯ সালে ছবির জগতে পা রাখা মানুষটি কাজ করেছেন শেষজীবন পর্যন্ত। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘ভালোবাসার বাড়ি’। দীর্ঘ ছ দশক ব্যাপ্ত তরুণ মজুমদারের কর্মজীবন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিপাড়ায়।