টলিপাড়ায় বন্ধ শ্যুটিং। শুধু সিনেমা নয়, সিরিয়াল, OTT-সহ সমস্ত কাজই বন্ধ। মিটবে কি পরিচালক-টেকনিশিয়ানদের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব? নাকি অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্যুটিং বন্ধ হয়ে থাকবে! এই পরিস্থিতিতে গোটা টলিউডের কপালে যখন চিন্তার ভাঁজ, তখন মুখ খুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টলিপাড়ার অচলাবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দু'পক্ষই মিলেমিশে কাজ করবে। ভারতের একমাত্র নির্বাচিত ফেডারেশন। দু'পক্ষেই একে অপরের পরিপূরক। এতে ইন্টারফেয়ার না করাই ভালো। ওরা নিজেরাই মিটিয়ে নেবে।’
আরও পড়ুন-রাহুলকে মানতে নারাজ, ‘শ্যুটিং কিছু পরিচালকই বন্ধ করেছেন, কলাকুশলীরা নয়’, বলছে ফেডারেশন
আরও পড়ুন-পরিচালক-ফেডারেশন দ্বন্দ্ব, এই পরিস্থিতিতে কোন পক্ষে তাঁরা! কী বলছে আর্টিস্ট ফোরাম?
এদিকে সোমবার বৈঠক, পাল্টা বৈঠকের পরও কাটেনি টলিপাড়ার অচলাবস্থা। ফলে কবে থেকে শ্যুটিং শুরু হবে, তার উত্তর এখনও মেলেনি। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ৩০ জুলাইও কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলেই শেষপর্যন্ত জানিয়েছেন পরিচালক ও প্রযোজকরা।
এদিকে সোমবার সকালে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকের পর ফেডারেশনের কাছে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন পরিচালকরা। তবে বিকেল ৪টেয় ফেডারেশনের বৈঠকে কাজ বন্ধের দায় পরিচালকদের উপরই চাপিয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। 'পুরো বিষয়টাই কিছু পরিচালকের ষড়যন্ত্র' বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে এদিন রাত ৮টা নাগাদ ফের সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন পরিচালকরা। সেখানে নিরপেক্ষভাবে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন তাঁরা। তাঁদের সাফ কথা, তাঁরা কাজ বন্ধের পক্ষে নন, তাঁরা কাজ বন্ধও করেননি। তবে চাপ দিয়ে কাজ বন্ধ করানো হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে পরিচালক অঞ্জন দত্ত বলেন, ‘আমরা তো সিনেমা করি, তাই যে সিনেমা বোঝে, নিরপেক্ষ আইন বোঝে, এমন কাউকে তৃতীয় পক্ষ করা উচিত।’সেক্ষেত্রে এই দায়িত্ব কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিও নিতে পারেন আবার আমলাও নিতে পারে বলে জানান পরিচালকরা।
এদিন অভিনেতা, পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, 'আমি অ্যালিগোরিকালি বলছি। এতেদিন জ্বর হলে দোকান থেকে টপ করে ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলতাম। এবার আমার একটা ডাক্তার চাইছি। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিকের একটা লম্বা কোর্স করতে রাজি।' পরিচালকদের সাফ কথা, বিষয়টা আর একজনের অপমানের উপর দাঁড়িয়ে নেই। এতদিনে চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টিও যুক্ত হয়ে গিয়েছে।
এদিন পরিচালকদের বৈঠকে ছিলেন রাজ চক্রবর্তী। ফেডারেশন কাজ বন্ধ প্রসঙ্গে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনেছে, সেবিষয়ে রাজের সাফ কথা, ‘আমরা কাজ বন্ধ রাখছি না। আমরা কাজ বন্ধ করিনি। এখন মুখ্যমন্ত্রীর কথা টেনে এনে আমরা কাজ বন্ধ রাখছি বোঝাতে চাইলে, তা সম্পূর্ণ ভুল হবে। আমাদের ফ্লোরে না ঢুকে কাজ বন্ধ করানো হয়েছে।'