শারদ আনন্দে মাতোয়ারা বাংলা।হ্যাঁ, করোনার ভ্রুকুটি রয়েছে ঠিকই তা কিন্তু পরিবার ও কাছের বন্ধুদের সঙ্গে পুজোর কটা দিন একটু আড্ডা,খাওয়া-দাওয়ায় মেতে উঠতে ক্ষতি কি! পুজোর তেমনই প্ল্যান রয়েছে সৃজিত-মিথিলারও। বিয়ের পর প্রথম পুজো এই জুটির। আর সেই উত্সবের আনন্দই দ্বিগুন হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদে।
ঢাকে কাঠি ইতিমধ্যেই পড়ে গিয়েছে। পুজোর উদ্বোধনে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। তবে সবদিকে খেয়াল রাখেন তিনি, নিয়ম মতোই এ বছরও দিদি শারদীয়ার উপহার পাঠিয়েছেন প্রিয়জনদের। তালিকায় রয়েছেন টলিপাড়ার বহু সদস্যই। এই তালিকায় নতুন সংযোজন মিথিলা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ভালোবাসায় আপ্লুত সৃজিত ঘরনি। মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো উপহারের ছবি পোস্ট করে, দিদিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
একদম নতুন বউয়ের মতোই শাড়ি উপহার পেয়েছেন মিথিলা। নীল শাড়ি, সঙ্গে সবুজ-গোলাপির চাওড়া পাড়। সৃজিতের জন্য লাল রঙের পঞ্জাবি পাঠিয়েছেন মমতা। নীল-লালের বৈপরীত্য যে এই জুটির ভালোবাসায় আরও খানিকটা মিলনের রঙ লাগাবে তা বলাই বাহুল্য।
গত বছর ডিসেম্বরেই সই-সাবুদ করে বিয়ের পর্ব সেরেছেন সৃজিত-মিথিলা। দেখতে দেখতে প্রায় দশ মাস অতিক্রান্ত। করোনার জন্য দীর্ঘ সময় স্বামীর চেয়ে দূরে কাটাতে হয়েছে মিথিলাকে। তবে ১৫ অগস্ট কাঁটাতার পেরিয়ে কলকাতায় আসেন মিথিলা। তারপর থেকে তিলোত্তমাতেই রয়েছেন বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী, সঞ্চালিকা তথা সমাজকর্মী। মিথিলার সঙ্গে কলকাতাতেই রয়েছে মেয়ে আইরাও। সদ্যই শ্যুটিংয়ের কাছে মুম্বই পারি দিয়ছিলেন সৃজিত, তবে আপতত ফিরে এসেছেন কলকাতায়।
মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সৃজিতের ওয়েব সিরিজ ‘ফেলুদা ফেরত’। আড্ডা টাইমসে মুক্তি পাবে এই বহুপ্রতীক্ষিত সিরিজ, এখনও সামনে আসেনি তারিখ।