টেলিপাড়ায় যেন সিরিয়াল বন্ধের হিড়িক লেগেছে। জুন মাসে রেকর্ড মেগা শো বন্ধ করেছে জি বাংলা। পিছিয়ে থাকেনি জলসাও। শুভ বিবাহ-র আগমনে হঠাৎ করেই বন্ধ করা হয়েছে জল থই থই ভালোবাসা। শুরু হতে না হতেই বন্ধ করা হয়েছে ‘ভক্তির সাগর’। টেক্কা দিতে জি বাংলা গত মাসে বন্ধ করেছে চারটি মেগা সিরিয়াল।
শুরু হয়েছিল ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ দিয়ে, এরপর ‘আলোর কোলে’, ‘অষ্টমী’ এবং ‘যোগমায়া’ বন্ধ করে দেয় চ্যানেল। টিআরপি তালিকায় এদিক থেকে ওদিক হলেই কোপ পড়ছে সিরিয়ালগুলোর উপর। ফের খারাপ খবর। এবার জি বাংলা কিংবা স্টার জলসা নয়, বরং বন্ধ হল কালার্স বাংলার জনপ্রিয় শো ‘রাম কৃষ্ণা’। এক বছর চার মাসের মাথায় শেষ হচ্ছে এক সময়ের চ্যানেল টপার এই মেগা সিরিয়াল।
রাম কৃষ্ণায় লিড রোলে অভিনয় করেছেন নীলাঙ্কুর মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিনী দত্ত। রাম ও কৃষ্ণার জীবন গত দেড় বছরে নানান বাধার সম্মুখীন হয়েছে ঠিকই কিন্তু হাসিমুখেই বিদায় নেবেন তাঁরা। আজকাল যেখানে মেগা সিরিয়াল চার মাসও টিকছে না, সেখানে রাম কৃষ্ণার এই সফর কিন্তু প্রশংসার দাবি রাখে। শুরুতে এই সিরিয়াল দর্শকদের নজর কেড়েছিল, যদিও গত কয়েকমাস ধরে সেভাবে সাড়া পাচ্ছিল না। অগত্যা সিরিয়াল বন্ধের সিদ্ধান্ত।
রামানন্দ এবং কৃষ্ণা দুই ভিন্ন মেরুর মানুষ, পরস্পরের জীবনসঙ্গী হয়ে ওঠতে কম কাঠখড় পোড়ায়নি তাঁরা। কৃষ্ণা উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে। ছেলের সঙ্গে কৃষ্ণার সম্পর্ক মানতে পারেনি রামের মা। সেই সব বাধা কাটিয়ে এক হয় তাঁরা। ভালোবাসার এই সফর শেষে চোখে জল নীলাঙ্কুরের। জানালেন, ‘রাম আজীবন আমার সঙ্গে থাকবে’।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আজ শেষবার রামের ভূমিকায় আমি, তবে রামের একটা অংশ আজীবন আমার সঙ্গে থাকবে। রাম আমাকে অনেক দিয়েছে, অনেক বাধা-প্রতিকূলতারও সম্মুখীন হয়েছি। নীলাঙ্কুর যখন মনমরা থেকেছে, রাম ওর মুখের হাসির কারণ হয়ে ওঠেছে। যখন রাম অপমানিত হয়েছে, নীলাঙ্কুর সেই যন্ত্রণার ভাগীদার হয়েছে। কান্নার দৃশ্যে গ্রিসারিনের দরকার পড়েনি।’
অভিনেতা আরও লেখেন, ‘এমন সময় যখন ওঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না অসুস্থতার কারণে তখনও রাম আমাকে সাহস জুগিয়েছে। নীলাঙ্কুর- রাম দুজনেই সবটা উজার করে দিয়েছ। আজ রামের ইতি, খুব মিস করব…’।
সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই শেষ হতে পারে কালার্স বাংলার অপর চর্চিত মেগা সোহাগ চাঁদও।