বিপাকে দক্ষিণী অভিনেতা নাগার্জুন। হায়দরাবাদের এন কনভেনশন সংক্রান্ত মামলায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠে এসেছে নাগার্জুনের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৩ অক্টোবর, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, ভাস্কর রেড্ডি নামের এক ব্যক্তি মাধবপুর থানায় নাগার্জুনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, কনভেনশন সেন্টার বা অনুষ্ঠানস্থল থেকে অন্যায়ভাবে মুনাফা অর্জন করেছেন অভিনেতা নাগার্জুন।
এবিষয়ে মাধবপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর কৃষ্ণমোহন জানাচ্ছেন, ভাস্কর রেড্ডি সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, যাতে নয়-ছয় হওয়া টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে কৃষ্ণমোহন জানাচ্ছেন, পুলিশ এই মুহূর্তে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে, এখনও নাগার্জুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়নি।
ভাস্কর রেড্ডির অভিযোগ, এর আগে জমিতে বেআইনিভাবে এন কনভেনশন সেন্টার গড়ে তুলেছিলেন নাগার্জুন। যে জমির মূল্য কয়েকশো কোটি টাকা। এই বিতর্কিত জমিটি ফুল ট্যাঙ্ক লেভেল (FTL) এবং থামমিডিকুন্টা লেকের বাফার জোনের মধ্যে পড়ে। অভিযোগ ছিল, ওই বিতর্কিত জমি দখল করে কনভেনশন সেন্টার বানিয়েছিলেন নাগার্জুন। সেই কনভেনশন সেন্টার থেকে তিনি বেআইনিভাবে মুনাফা অর্জন করেছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন ভাস্কর রেড্ডি। এমনকি এক্ষেত্রে অভিনেতা নাগার্জুনকে গ্রেফতারের দাবিও করেছেন তিনি।
যদিও গত অগস্টেই হায়দ্রাবাদ ডিজাস্টার রেসপন্স অ্যান্ড অ্যাসেটস মনিটরিং অ্যান্ড প্রোটেকশন (HYDRAA) এজেন্সি ২৪ আগস্ট অভিনেতা আক্কিনেনি নাগার্জুনের সম্পত্তি, এন কনভেনশন সেন্টার ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়৷ যেটি কিনা বিবাহ এবং কর্পোরেট সমাবেশ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান ছিল।
প্রসঙ্গত এন কনভেনশন সেন্টারটি ১০ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত ছিল, যে সেন্টারটি গড়ে তুলতে বেশ কয়েকটি জমি ব্যবহার এবং পরিবেশগত বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে অভিযোগ ছিল। আর এই সেন্টারটি তুম্মিদিকুনতা হ্রদ দখল করে তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি উঠেছিল। ফুল ট্যাঙ্ক লেভেল (FTL) এর মধ্যে ১.১২ একর এবং লেকের বাফার জোনের মধ্যে অতিরিক্ত ২ একর দখল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল। আর এরপরই এই কনভেনশন সেন্টারটি ভেঙে ফেলা হয়।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নাগার্জুন। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘সেলিব্রিটিদের সম্পর্কে খবর, প্রায়ই অতিরঞ্জিত এবং অনুমানের ভিত্তিতে তুলে ধরা হয়। আমি আবার বলতে চাই যে এন-কনভেনশন সেন্টারটি যে জমিতে নির্মিত হয়েছে সেটা একটি পাট্টা নথিভুক্ত জমি। এর বাইরে এক শতাংশ জমিও দখল করা হয়নি। এপি ল্যান্ড গ্র্যাবিং (নিষেধাজ্ঞা) আইনের বিশেষ আদালত ২৪-০২-২০১৪ তারিখে একটা আদেশ Sr.3943/2011 দিয়ে একটি রায় দেয় যে তুম্মিদিকুনটা লেকে কোনও দখল হয়নি। এখন এরই মধ্যে মাননীয় হাইকোর্টের সামনে আনুষ্ঠানিক যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি দেশের আইন ও বিচার মেনে চলব। ততক্ষণ পর্যন্ত, আমি আন্তরিকভাবে আপনাদেরকে অনুরোধ করব, অনুমান, কোনো ধরনের গুজব, তথ্যের ভুল উপস্থাপন এবং বিচ্যুতিতে প্রবৃত্ত না হওয়ার জন্য।’