সোমবার আদালতের পক্ষ থেকে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারপর থেকে কার্যত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছে আরিানের নাম! গ্রেফতারির পর থেকেই স্ক্যানারের তলায় এসে গিয়েছে শাহরুখ-গৌরী-সহ গোটা খান পরিবার। আর তা নিয়েই প্রতিবাদ করতে দেখা গেল শশী থারুরকে।
যেভাবে শাহরুখ পুত্রের ‘চরিত্র বিশ্লেষণ’-এর কাজে লেগেছে সকলে, তা দেখে বেশ বিব্রত হয়েছেন শশী। তাই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন সমাজের কিছু অংশের মানুষকে নিয়ে। শশী নিজের টুইটে লিখেছেন, ‘আমি ড্রাগস নেওয়ার পক্ষপাতি নই। নিজে কখনও ড্রাগস নেইনি। কিন্তু আমি বিব্রত বোধ করছি কিছু মানুষের পৈশাচিক স্বভাব দেখে আর যেভাবে শাহরুখের ছেলের গ্রেফতার হওয়া নিয়ে ডাইনি খোঁজা চলছে! একটু তো দয়া দেখান! আমজনতার নজর এমনিতেই তীক্ষ্ম, তাতে আর ২৩ বছরের ছেলেটার মুখ নির্মম ভাবে ঘষে দেবেন না।’
তবে, শশীর এই টুইট নিয়েও চলল ট্রোলিং। কেউ কেউ তো স্পষ্ট করে লিখে দিয়েছেন রাজনৈতিক স্বার্থে SRK-র পাশে দাঁড়িয়েছেন থারুর। কারণ, বলিউডের সঙ্গে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ কারওর আজানা নয়। সঙ্গে আবার শশীর টুইটে ব্যবহার করা ‘কঠিন’ ইংরেজি শব্দ নিয়ে বরাবরের মতো এবারেও হয়েছে চর্চা। ‘ghoulish epicaricacy’ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন তিনি, তা নিয়ে হয়েছে নেটিজেনদের লম্বা আলোচনা।
এক জনৈক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘Ghoulish = macabre , unhealthy , horrible. Epicaricacy = a kind of malacious satisfaction that some people gain from seeing others situation.’। যার উত্তরে অপরজনের জবাব, ‘ধন্যবাদ! আপনি আমার অনেকটা সময় বাঁচিয়ে দিলেন। আমাকে এখনই নয়তো ডিকশনারি নিয়ে বসতে হত।’
৭ অক্টোবর অবধি এনসিবি-র হেফাজতেই থাকবে আরিয়ান। সোমবার আদালতে এনসিবি-র পক্ষ থেকে যে তথ্য পেশ করা হয়েছে তাতে দাবি করা হয়েছে, আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে ড্রাগ ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরিয়ানের। তাঁদের সঙ্গে টাকার আদান-প্রদান নিয়েও কথা হয়েছে। এমনকী, আরিয়ানের মাদক-কাণ্ডে আন্তর্জাতিক যোগাযোগও খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি এনসিবির।