মাদককাণ্ডে এনসিবির হাতে গ্রেফতার শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান। শনিবার গভীর রাতে আরিয়ানের এনসিবির হাতে আটক হওয়ার খবর সামনে আসতেই চাপা উত্তেজনা টিনসেল টাউনে। সময় যত গড়িয়েছে, ততই যন্ত্রণা বেড়েছে খান পরিবারের। গোয়াগামী প্রমোদতরীর ‘রেভ পার্টি’ থেকে আটক করা হয়েছিল আরিয়ানসহ মোট আটজনকে। রবিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয় আরিয়ান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা। ওইদিন আদালত একদিনের এনসিবি হেফাজত মঞ্জুর করেছিল অভিযুক্তর। সোমবার ফের আদালতে তোলা হলে জামিন পাননি তারকা-পুত্র, ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবির কাস্টডিতে আরিয়ান।
আদালতে আরিয়ানের হয়ে সওয়াল করেন দেশের অন্যতম নামজাদা ক্রিমিন্যাল লইয়ার, সতীশ মানেশিন্দে। সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবীও ছিলেন ইনি। সতীশ মানেশিন্দে আরিয়ানের স্বপক্ষে নানান যুক্তি খাড়া করবার চেষ্টা করেন, তাঁর কাছ থেকে কোনও মাদক মেলেনি, আরিয়ানের কোনও ক্রিমিন্যাল রেকর্ড নেই, রেইডে পালানোর চেষ্টা করেনি, সর্বোপরি জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতার হয়েছে সে। যদিও এনসিবির তরফে অ্যাডিশন্যাল সলিসিটার জেনারেল সাফ জানান, আরিয়ানের ফোন থেকে মিলেছে ড্রাগস চ্যাট, যার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের যোগ থাকতে পারে বলে আশঙ্ক্ষা এনসিবির। তাই বিস্তারিত তদন্তের জন্য আরিয়ানের কাস্টডি চায় তাঁরা।
আরিয়ান বয়ানে জানিয়েছে, তাঁকে সেই ক্রুজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। লক্ষাধিক টাকার টিকিট কেটে সে পার্টিতে হাজির হয়নি। কে এবং কেন- তাঁকে ওই পার্টিতে ডাকল? স্পষ্ট জবাব চায় এনসিবি। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই প্রসঙ্গে উঠতেই মানেশিন্দে মক্কেলের স্বপক্ষে বলেন- ‘জাহাজে ড্রাগ বিক্রি করবার প্রয়োজন আরিয়ান খানের নেই। কেন সে ওই জাহাজে উঠেছিল, তা জানার কোনও দরকার নেই এনসিবির। আরিয়ান চাইলে পুরো জাহাজটাই কিনে নিতে পারে’। মানেশিন্দের আরও দললি, যদি আরিয়ানের অপরাধ জামিনযোগ্য না হয়, তাহলে এনসিবিকে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দিতে হবে। অন্যের কাছে মেলা ড্রাগসের জন্য আরিয়ানকে দায়ী করা যাবে না। এনসিবির তরফে গুরুতর অভিযোগ আনা হচ্ছে আরিয়ানের বিরুদ্ধে, আদালত নিজেই এই সমস্ত চ্যাট পড়ে দেখতে পারে'।
সতীশ মানেশিন্দে সব দলিল শুনেও আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতেই থাকবেন আরিয়ান।