সারা বাংলা জুড়ে পালন করা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মশতবর্ষ। করোনার ভয়ের আবহও টলাতে পারেনি কবিগুরু 'বিশ্বকবি'-র প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও দেশে বিদেশে অনাড়ম্বরভাবে হলেও সাদরে পালন করা হচ্ছে ' প্রাণের কবি'-র জন্মদিন। তবে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর এলাকায় রবি ঠাকুরের জন্মদিন যেভাবে পালন করা হয়েছে তা দেখে বিস্ময়ে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। ওই অঞ্চলে রবি ঠাকুরের সঙ্গে একই আসনে, একই সঙ্গে পুজো পেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্যারাকপুরের নব নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী! রবি ঠাকুরের ছবি মাঝখানে রেখে ওঁর দু'পাশে রাখা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়কের ছবি। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা রাজ চক্রবর্তীর শ্বশুরমশাই দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় ও শাশুড়ি বীনা গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে একই আসনে কীভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁদের জামাই তথা তৃণমূল বিধায়ক 'পুজো' পেতে পারেন সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে আনন্দবাজারকে তিনি শুধু জানিয়েছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের জামাইয়ের বিধায়ক হওয়ার আনন্দও উদযাপন করা হচ্ছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আনন্দবাজারে প্রকাশিত হওয়া একটি প্রতিবেদনে তৃণমূলের এক জেলা কংগ্রেসের নেতা বলেছেন,' দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়ের গোটা পরিবার আগে সিপিএম করত। বর্তমানে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছে। তা নতুন তৃণমূল হলে তো একটু বেশি দেখাতেই হবে!' পাশাপাশি বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানো বিজেপি প্রার্থী কোনই সন্দীপ নন্দী এ বিষয়ে উপহাস করে বলেন,' রবীন্দ্রনাথ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ চক্রবর্তী একই আসনে ভাবা যায়?' সেখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন যে,যাঁরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তাঁরা সকলেই শিক্ষিত তাই তার আর কিছুই বলার নেই। গোটা ঘটনা সম্পর্কে তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন যে রবি ঠাকুরের জায়গা সবার উপরে। তবে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর এলাকায় ঠিক কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।