নতুন মুখেদের লাইমলাইটে আনতে ভাইজানের জুড়ি মেলা ভার। ক্যাটরিনা কাইফ থেকে সোনাক্ষী সিনহা, অনেক বলি নায়িকারই কেরিয়ার গড়ে দিয়েছেন সল্লু মিঁয়া। 'দাবাং থ্রি'-তে আরও এক নবাগতাকে সুযোগ করে দিয়েছেন সলমন খান। সেই নায়িকার সঙ্গেই মঙ্গলবার এক ছবি পোস্ট করলেন সলমন। কথা হচ্ছে সাই মাঞ্জরেকরের। সলমনের বন্ধু মহেশ মাঞ্জরেকর কন্যার বলিউড অভিষেক হচ্ছে দাবাং থ্রি'-র সঙ্গে।
ইন্সটাগ্রামের দেওয়ালে সলমনের পোস্ট করা সেলফিতে দেখা যাচ্ছে একটি গাড়ির আয়নায় দুই তারকার প্রতিবিম্ব। দাবাং থ্রি-র লুকে নয়, ক্যাজুয়াল লুকেই এই ছবিতে পাওয়া গেছে সলমন খান ও সাই মাঞ্জরেকরকে। বোঝাই যাচ্ছে ছবির শ্যুটিং সেটের ছবি এটি।
কিছুদিন আগেই সলমন খান, সাইয়ের সঙ্গে আরও একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন, দবাং থ্রি-র আউটডোর শ্যুটিংয়ের। যেখানে নদীর ধারে লেন্সবন্দী হয়েছেন দুই তারকা।
'দাবাং থ্রি' তে অভিনয় করেছেন সাই মাঞ্জরেকরের বাবা মহেশও। 'দাবাং' ফ্রাঞ্চাইসির আগের ছবিতেও দেখা মিলেছে অভিনেতার। মেয়ের সঙ্গে একই ছবিতে কাজ করতে পেরে খুশি মহেশ মাঞ্জরেকর। 'হরিয়ার চরিত্রেই আমাকে দেখা যাবে। ক্যামিও চরিত্র, তবে এই চরিত্রটা চুলবুল পাণ্ডের রবিনহুড হয়ে ওঠার যাত্রাটা প্রতিষ্ঠিত করবে। একটি দৃশ্যে আমি,
আমি, সাই আর সলমনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছি। সেটা আমার কাছে এক অদ্ভূত সুন্দর অভিজ্ঞতা। মেয়ের জন্য আমি আবেগপ্রবণও ছিলাম এবং অবশ্যই ভীষণ গর্বিত', জানান মহেশ মাঞ্জরেকর।
'দাবাং থ্রি' নিয়ে ভাইজান ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। পরিচালক প্রভু দেবার এই ছবিতে তিন নম্বর বার চুলবুল পাণ্ডের ভূমিকায় দেখা মিলবে ভাইজানের। 'রজ্জো' সোনাক্ষী সিনহা তো থাকছেনই, সাইকে ছবিতে দেখা যাবে চুলবুল পাণ্ডের প্রথম জীবনের প্রেমিকা হিসাবে। ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে রয়েছেন সুদীপ। পাশাপাশি চুলবুল পাণ্ডের বাবার চরিত্রটিতে, প্রয়াত অভিনেতা বিনোদ খান্নার জায়গা নেবেন তাঁর ভাই প্রমোদ খান্না।
২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'দাবাং', দু বছর পর মুক্তি পায় 'দাবাং টু'। সাত বছর পর ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে সলমন খান ফিল্মস প্রযোজিত, 'দবাং থ্রি'।