কলকাতার স্ট্রিট ফুডের স্বর্গ ডেকার্স লেন। আর সেই ডেকার্স লেনের প্রাণকেন্দ্র অরুণদার ‘জয় মা তারা’ পাইস হোটেল। ছোট্ট দোকানে মাত্র ছোট্ট মাত্র ৩৭ টাকায় ভরপেট ভেজ থালি সার্ভ করেন অরুণদা ওরফে অরুণ পাল। ফুড ভ্লগারদের রমরমা অরুণদার দোকানে।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অরুণদার মুখের বুলি ‘জয় মা তারা’। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শ শ প্লেট খাবার বিক্রি করেন। আজকাল তো ছবি শিকারিদেরও ভিড় থাকে তাঁর দোকানে, দাদা একটা সেলফি! আর সেই আবদার হাসিমুখে মেটান মা তারার ভক্ত অরুণদা। এবার ফুটপাত থেকে বাংলার সবচেয়ে চর্চিত রিয়ালিটি শো দাদাগিরির মঞ্চে অরুণদা।
সপ্তাহ দু-য়েক আগেই সৌরভের সঙ্গে শো-এর শ্যুটিং সেরেছেন অরুণদা। এবার সামনে এল আসন্ন এপিসোডের প্রোমো। অরুণদার জয় মা তারা হোটেলের সবচেয়ে হিট, সবচেয়ে ভাইরাল পদ হল ‘বেগুন সুন্দরী’। দাদাগিরির মঞ্চেও চর্চার কেন্দ্রে থাকল এই আইটেম। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই পাইস হোটেলের মালিককে দেখেই বলে ওঠেন, ‘জয় মা তারা’। তারপর প্রশ্ন, কী পাওয়া যায় আপনার দোকানে? মেনু কার্ড জলের মত মুখস্থ অরুণদার। এক নিঃশ্বাসে বলে চলেন, ‘জল রুটি, তেল রুটি, ঘি রুটি, বাটার রুটি, বাটান নান, মিক্স ভেজেটেবিল, ডাল মাখানি, নবরত্ন কারি, ডাল ফ্রাই, আলু ফ্রাই, আলু ৬৫… আরেকটা স্পেশ্যাল আইটেম আছে বেগুন সুন্দরী’।
অরুণদার হোটেলের সবচেয়ে খাস পদ এটি। অরুণদার হাতের বেগুন সুন্দরীর স্বাদ নাকি মুখে লেগে থাকে। সৌরভ জানতে চান এই বেগুন সুন্দরীর (দাদা ভুলবশত বেগুন সুন্দর উচ্চারণ করে বসেন) দাম কত? উলটো দিক থেকে জবাব আসে, ‘পঞ্চাশ হাজার টাকা…’। তা শুনেই চোখ গোলগোল মহারাজের। তিনি বলে ওঠেন, ‘সত্যি জয় মা তারার নামে দোকান আর কী’।
তবে মোটেই বেগুন সুন্দরীর দাম বেশি নয়! এক পিস বেগুন সুন্দরীর দাম মাত্র ২০ টাকা। সৌরভের হাতের ছোঁয়াতেই ওই বিশেষ বেগুন সুন্দরীর দাম ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ হাজার হয়েছে তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার নয়।
এই মুহূর্তে ফেসবুক খুললেই হয় নন্দিনীদি না হয় মুনমুনদি না হয় অরুণদার ভিডিয়ো চোখে পড়ে। পাইস হোটেলের দাদা-দিদিরা এখন ট্রেন্ডিং-এ। সুতরাং টেলিভিশনের পর্দাতেও আজকাল দেখা মিলছে তাঁদের। দিদি নম্বর ১-এ কিছুদিন আগে ঘুরে গিয়েছেন ১০০ টাকায় পোলাও-মাটন বিক্রি করে ফেমাস হওয়া বর্ধমানের মুনমুন দিদি। নন্দিনী দিদি তো বহু আগেই দিদি নম্বর ১-এ এসেছেন। এবার পালা অরুণদার। এই শনিবার অর্থাৎ ২রা মার্চ রাত ৯.৩০টায় সম্প্রচারিত হবে এই এপিসোড।