বিয়ে নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাসী নন সিদ্ধার্থ মোদক। তাই দাদাইয়ের জোরাজুরিতে মিঠাইকে বিয়ে করলেও কোনওদিন এই সম্পর্ককে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি সে। যদিও মিঠাই তাঁর সারল্য দিয়ে ঘর করে নিয়েছে সিদ্ধার্থর মনে। কিন্তু নিজের মনের খোঁজ রাখে না উচ্ছেবাবু নিজেই। তাই তিন নম্বরবার মিঠাই-সিদ্ধার্থের বিয়ে শুধু পণ্ড হল না, বরং বাপের বাড়ি (জনাই) ফিরে যেতে হল মিঠাইকে।
সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগেই ডিভোর্স পেপারে সই করে গিয়েছিল সিদ্ধার্থ, সে কথা সামনে আসার পর মন ভাঙে মিঠাইয়ের। তোর্সা-সোমের চক্রান্তে জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছিল মিঠাইকে, তবুও এতটা কষ্ট পায়নি সে। এইসব কিছু মিঠাইয়ের মায়ের কানে পৌঁছাতেই মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তিনি। এখন মিঠাই জনাইয়ে, অন্য হল্লা পার্টি ভেবে পাচ্ছে না ‘তুফান মেল’ আর ‘উচ্ছেবাবু’র মিলন হবে কী করে!
মিঠাইকে ছেড়ে সিদ্ধার্থ থাকতে পারছে না, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করে হল্লা পার্টি। সিদ্ধার্থের দুই বোন আবদার করে, ‘চল, দাদাই মিঠাইকে জনাই থেকে আমরা নিয়ে আসি। তোরা দুজনে বিয়ে করে, আবার নতুন করে সংসার পাতবি’। সিদ্ধার্থ বোঝানোর চেষ্টা করে, ‘বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করলেই আমার দম আটকে আসছে। মা অনেক সাফার করেছে। বিয়ের বন্ধনটাই এমন, কিছুদিন পরেই সাফোকেটিং লাগে। যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে’। মিঠাইয়ের পাশে দাঁড়াতে রাজি সিদ্ধার্থ, তবে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক জোড়া লাগাতে চায় না সে।
শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মিঠাই যোগাযোগ রাখুক এখন সেটা চাইছেন না মিঠাইয়ের মা। অন্যদিকে, ঘরের লক্ষ্মী বাড়িছাড়া হয়েছে মোদক পরিবারের। মন থেকে কেউই সেটা মেনে নিতে পারছে না। তবে সবচেয়ে মর্মাহত দাদাই। অনুশোচনা ঘিরে ধরেছে তাঁকে। তাই অনেক ভেবে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি। ‘মনোহরা’ নিবাস ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি। হ্যাঁ, সংসার ত্যাগী হলেন উচ্ছেবাবুর দাদাই।
রাতের অন্ধকারে একটা চিঠি লিখে চলে গেলেন তিনি। সকাল হতে সেই চিঠি হাতে পেয়ে হতবাক সকলে! দাদুকে ফিরিয়ে আনতে এবার কী করবে ‘দাদুর নাতি’? মিঠাইকে ফিরিয়ে আনতে জনাই ছুটবে সে? এখন সেটাই দেখবার।