২ অক্টোবর বুধবার মহালয়া। আর দেবীপক্ষের আগে থেকেই ধীরে ধীরে সেজে উঠছে শহর তিলোত্তমা। আরজি কর আবহে এবার পুজোর রেশ অনেকটাই কম। তবে দুর্গা মায়ের আসার ছাপ যেন এখন থেকেই পড়তে শুরু করেছে বাংলায়।
সুখবর দিলেন ভাইরাল নন্দিনীদিদিও। নিশ্চয়ই ভুলে যাননি তাঁকে। করোনা লকডাউন চলাকালীন হঠাৎই প্রচারের আলোতে উঠে এসেছিলেন এই বাঙালি কন্যে। শিক্ষিত-মুখে ফটাফট ইংরেজি বলা, গলায় ব্লু টুথ হেডফোন ঝোলানে মেয়েকে ডালহৌসির ফুটপাথে খাবার বিক্রি করতে দেখে, অনেকেরই চোখ উঠেছিল কপালে।
বর্তমানে অবশ্য নন্দিনীর ডালহৌসির দোকানটি বন্ধ। তিনি নন্দিনীর হেঁশেল খুলেছেন নিউটাউনে। বাবার অনেকদিনের স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন। আর ফুটপাথে খাবার বিক্রি করতে হয় না, মাথার উপরে দিয়েছেন পাকাপোক্ত ছাদ।
আরও পড়ুন: মা কি ডাল হোক বা মোমো, আশা ভোঁসলের রান্না জিভে আনবে জল! কেন হয় রাঁধুনি হওয়ার শখ
তবে পুজোর আগে নন্দিনী তাঁর হাতে তৈরি খাবার নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন বেহালাতে। সেখানে পুজোর আগে বসেছে মেলা। বেহালার চণ্ডিতলা মাঠে নিজের খাবারের পসরা নিয়ে বসেছেন। শনি-রবি-সোম থাকছেন। আর নন্দিনী লাইভে এসে নিজের অনুরাগীদের অনুরোধ রাখলেন, যাতে বেহালায় থাকার মানুষরা সকলে আসেন এই মেলাতে।
আরও পড়ুন: চাই নতুন প্রজন্মের মুখ! ‘বুড়ো’ অভিষেক-উদয় বাদ, রণবীরই নাকি থাকছেন ধুম ৪-এ
বিখ্যাত হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে, ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ফেলেন নন্দিনী। সেখানে লাইফস্টাইল ভিডিয়ো, ফুড ভ্লগিং, প্রোডাক্ত প্রোমোশন-সহ নানা কাজ করে থাকেন। মাঝে তো নন্দিনীর সিনেমায় অভিনয়ের খবরও মিলেছিল। তাতে আবার ছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। যদিও শ্যুট শেষের পর বছর ঘুরলেও, এখনও সিনেমার মুক্তির খবর শোনা যায়নি। এক লেখিকা-গোয়েন্দার চরিত্রে সেখানে অভিনয় করেছিলেন নন্দিনী।
এদিকে, নিন্দকদের দাবি, ডালহৌসির দোকান উঠে যাওয়ার পরে, বিশেষ চলছে না নিউটাউনের দোকান। আশেপাশের দোকানে ভিড় থাকলেও, প্রায় মাছি মারে নন্দিনীর হেঁশেল। যার বড় কারণ নাকি খাবারের বেশি দাম। অবশ্য নন্দিনীর দাবি অন্য। তিনি গ্রাহকদের সামলাতে হিমশিম খান। দোকানে আজকাল বিরিয়ানি থেকে চাইনিজ, বাঙালি রান্নার পাশাপাশি এই খাবারগুলিও মিলছে।