ইনস্টাগ্রাম ফিডে হঠাৎ করেই আটকে গেল চোখ! জিন্স-টপ আর কানে ব্লুটুথ হেটফোন গুঁজে অতিথিদের সামনে খাবার পরিবেশন করা নন্দিনীকে চেনাই দায়! বউ সেজে কী সুন্দরই না লাগছে তাঁকে।
পরে আছেন মেরুন রঙের একটি ভারি কাজের সিল্কের শাড়ি। তাতে সোনালি জরির কাজ। চড়া মেকআপ, চুলের খোঁপায় গোঁজা গোলাপ ফুল। মাথায় মুকুট দিতেই যেন আরও খোলতাই হল চেহারা। গা ভরা গয়না।
তবে বিয়ে করছেন না হঠাৎ করে! আসলে এই সাজ ছিল একটি ব্রাইডাল শ্যুটের অঙ্গ। মেকআপ আর্টিস্ট অমিত কর্মকারের সঙ্গে কোলাবরেশনে কাজটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোলুমোলু খুদে এখন বলি-নায়িকা, একসময় ওজন ছিল ৯৫ কেজি, আজ জন্মদিন, বলুন তো কে?
যদিও দেখা গেল নন্দিনীকে মডেল হিসেবে খুব একটা মন ধরেনি নেট-নাগরিকদের। ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনে চোখ রাখলেই দেখা যাবে কুৎসার বন্যা। একজন লিখেছেন, ‘তোমার অন্য কাজগুলো খুব ভালো লাগে কিন্তু একে ভীষণ বেকার লাগছে। তুমি এনাকে যেই লুকই দাও না কেনো হিজরের মতোই লাগবে। পুরো বেকার লুক। রিপ ব্রাইডাল মেকআপ।’
দ্বিতীয়জন লেখেন, ‘জঘন্য লাগছে। মনে হচ্ছে একটা ছেলেকে মেয়ে সাজানো হয়েছে। এই বোধটাও নেই তোমার?? তার থেকে না সাজা অবস্থায় অনেক বেশি ভালো লাগছিল।’ তৃতীয়জন লেখেন, ‘আসলে মানুষ নন্দিনীকে ঘৃণা করে। তাই কমেন্ট সেকশনে নেগেটিভ মন্তব্যের বন্যা। তুমি যতই চেষ্টা করো নিজের কাজ বা নন্দিনীকে নিয়ে কথা বলার, কেউ পাত্তা দেবে না। ভাবো তাহলে, মানুষ কতটা ঘৃণা করে এই মেয়েটাকে।’
আরও পড়ুন: ‘বামপন্থীদের এসব এড়িয়ে চলা ভালো…’! ভোট মিটতেই CPIM-এর নামে কী বলে বসলেন অনিন্দ্য
করোনা পরবর্তী সময়ে হঠাৎই নন্দিনী পেয়েছিলেন খ্যাতি। এক ফুড ভ্লগারের নজরে চলে আসেন ডালহৌসির অফিস পাড়ায় রাস্তার পাশে ফুটপাথ চালানো মেয়েটি। সেই ভ্লগার নাম দেয় স্মার্ট দিদি হিসেবে। ধীরে ধীরে দোকানে যেমন ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে, তেমনই ভিড় জমাতে থাকেন ইউটিউবাররাও। আর খ্যাতি নিয়ে এল বিড়ম্বনাও।
আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে ডিনার ডেট! ফুল-ফুল জামায় বেবিবাম্প লোকানোর চেষ্টা দীপিকার, কতটা বড় হল পেট
একসময় দিনে ২০-৩০টি খদ্দের হত দোকানে। তারপর নন্দিনীকে দেখার টানে ১০০-১৫০ লোক আসতে থাকে রোজ। দুপুরের পর আর থাকে না খাবার এখন। দূর দূর থেকে মানুষ আসে এই দোকানে। বাংলাদেশ থেকেও লোক আসতে দেখা গিয়েছে।
তবে নন্দিনীর নিত্যদিন ঝগড়ায় জড়ানো, কখনও বাবার সঙ্গে, কখনও দোকানের কর্মচারীর সঙ্গে, কখনও খেতে আসা অতিথি, তো কখনও পথচারীর সঙ্গে, জায়গা করে নিয়েছে ইউটিউবে। বর্তমানে তো নিউডাউনেও দুটো দোকান খুলেছেন তিনি। নাম রেখেছেন ‘নন্দিনী-র হেঁশেল’।