আশি-নব্বইয়ের দশকে বলিউডে চুটিয়ে কাজ করেছেন অভিনেতা দলীপ তাহিল। একাধিক নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিতে সক্ষম। ‘বুনিয়াদ’, ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’, ‘বাজিগর’, ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ সহ একাধিক বলিউড ছবিতে কাজ করেছেন। ‘ফ্যামিলি ম্যান’, ‘মেড ইন হেভেন’-এর মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন ওটিটিতে।
১৯৭৪ সালে 'অঙ্কুর' সিনেমা দিয়ে বলিউড কেরিয়ার শুরু হয় দালীপের। ৪৮ বছরের কেরিয়ারে তিনি অনেক চলচ্চিত্র, টিভি শো এবং ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন। ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ ছবিতে আমির খানের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দলীপ। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩১ বছর।
৬৯ বছরের দলীপ এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর ৪৮ বছরের কেরিয়ারের একাধিক বিষয় ফাঁস করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ইন্ডাস্ট্রিতে আগের আর এখনকার সিস্টেমের মধ্যে পার্থক্য কোথায়। ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ ছবি অভিনেতার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। বলেছেন, তাবড় তাবড় তারকারা এই ছবিটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং তিনি যখন চরিত্রের জন্য সুযোগ পেয়েছিলেন, দেরি না করে ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছিলেন। আরও পড়ুন: ‘এক মুহূর্ত তোমায় ফিরে পেতে..’, বাবাকে ছাড়া প্রথম পিতৃ দিবস কেকে-কন্যা তামারার
দলীপ বলেন, 'টিভি সিরিয়াল 'বুনিয়াদ'-এর পর 'কয়ামত সে কয়ামত তক'-এ কাজের সুযোগ এসেছিল। দীর্ঘদিন ছবির শ্যুটিং করার পর নাসির হুসেন সাহেবকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, 'আপনি আমাকে এত বড় ইন্ডাস্ট্রিতে পেলেন কী করে? আরও জিজ্ঞেস করেছিলাম, কারণ 'কয়ামত সে কয়ামত তক'-এর ভূমিকা খুবই শক্তিশালী ছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমি তোমাকে 'বুনিয়াদ'-এ দেখেছি এবং এই ছবিতে আমি এটাই চেয়েছিলাম। আমি একটি শক্তিশালী কিন্তু আবেগপূর্ণ চরিত্র চেয়েছিলাম। আমরা জানি আমরা ছবিতে আমির খানকে সাইন করতে যাচ্ছি এবং তুমি ওর বাবার চরিত্রে মানানসই।'
_1655687554434_1655724740360.webp)
অভিনেতা আরো বলেন, 'সঞ্জীব কুমার এবং শাম্মি কাপুরকে নিয়ে এই ছবিটি তৈরি হওয়ার কথা ছিল। সে সময় ছবিটি পরিচালনা করতে যাচ্ছিলেন নাসির হোসেন। যেহেতু তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন, তাই চিকিৎসকরা তাকে বেশি চাপ নিতে বারণ করেছিলেন। এরপর নাসির সাহেব ছেলে মনসুরকে ছবিটির প্রস্তাব দেন। মনসুরের ছবির বিষয়বস্তু পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু তিনি বলেছিলেন যে তিনি সঞ্জীব কুমার এবং শাম্মী কাপুরের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না কারণ তারা খুব সিনিয়র। তাই ছবির জন্য নতুন কাস্ট সন্ধান করা হয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় অভিনেতাকে এই ছবির অফার দেওয়া হয়েছিল। নাম নেব না তবে অনেক বড় তারকা 'কয়ামত সে কয়ামত তক' প্রত্যাখ্যান করেছেন।'
'কয়ামত সে কয়ামত তক'-এ আমির খানের বাবার চরিত্রে অভিনয় করার সময় দলীপের বয়স ছিল মাত্র ৩১ বছর। দলীপ তাহিল বলেন, তিনি এক মুহূর্ত না ভেবে চরিত্রে জন্য হ্যাঁ বলে দিয়েছিলেন, ‘আমি যখন চলচ্চিত্রে আমিরের বাবা হয়েছিলাম, তখন আমি নিজেও বাবা হইনি এবং বিয়েও করিনি।’
১৯৮৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আমির খানের। ছবিতে আমিরের বিপরীতে ছিলেন জুহি চ্যাওলা। ছবিটি একটি ব্লকবাস্টার হিট ছিল এবং আমির এবং জুহিকে রাতারাতি তারকা করে তোলে। জাতীয় পুরস্কার সহ ৮টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছে এই ছবি।