Dalljiet-Nikhil: নিখিল-নুসরতের কায়দায় ২য় ‘বিয়ে’ ভাঙল দলজিতের! পরকীয়ার অভিযোগ নিয়ে জবাব ‘স্বামী’র

Dalljiet-Nikhil এনআরআই স্বামী নিখিল প্যাটেলের সঙ্গে এক বছরও সংসার করতে পারলেন না দলজিৎ। চলতি বছর জানুয়ারি মাসেই আলাদা হয়েছেন তাঁরা, জানান নিখিল। তবে এই বিয়ের নাকি কোনও আইনি বৈধতা নেই দাবি কেনিয়ার ব্যবসায়ীর।

গত লোকসভা ভোট মিটতেই ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে সূদূর তুরস্কে রূপকথার বিয়ে সেরেছিলেন নুসরত জাহান। বিয়ের জন্য শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানও পিছিয়ে দেন বসিরহাটের বিদায়ী সাংসদ। কিন্তু বছর ঘুরতেই আলাদা হন তাঁরা। পরে নিখিলকে নিজের ‘স্বামী’ নয়, সহবাস সঙ্গী বলেছিলেন নুসরত। আলিপুর আদালতও তাঁদের বিয়েতে অবৈধ বলে ঘোষণা করে। কারণ স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় রেজিস্টার হয়নি সেই বিয়ে। দলজিৎ কৌরের ‘স্বামী’র কথা শুনে নুসরত-নিখিলের ইতিহাস মনে পড়ছে নেটিজেনদের। 

একটা সময় টেলিভিশনের পছন্দের জুটি ছিলেন দলজিৎ কৌর ও শালীন ভানোট। ভালোবাসার বিয়ে টেকেনি, বরের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য় হিংসার মামলা এনে বিচ্ছেদ নেন বিগ বস খ্যাত নায়িকা। এরপর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ছেলে কোলে কেনিয়ার ব্যবসায়ী নিখিল প্যাটেলকে ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন দলজিৎ। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আলাদা হয়েছে তাঁদের পথ। বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মধ্যে, দলজিৎ সম্প্রতি তার স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়ে একটি রহস্যময় পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। গোটা ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছে দলজিৎ-এর ‘স্বামী’। 

বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করলেন নিখিল প্যাটেল

নিখিল ই-টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এই বছরের জানুয়ারিতে দলজিৎ তার ছেলে জেডন নিয়ে কেনিয়া ছেড়ে ভারতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত আমাদের বিচ্ছেদের কারণ হয়েছিল। আমরা দুজনেই বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাদের মিশ্র পরিবারের ভিত্তি ততটা শক্তিশালী নয় যতটা আমরা আশা করেছিলাম, দলজিতের পক্ষে কেনিয়ায় সংসার করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আমরা মুম্বাইয়ে একটি ভারতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। যদিও এটির সাংস্কৃতিক তাৎপর্য ছিল  কিন্তু এটা আইনত বাধ্যতামূলক ছিল না। এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল দলজিতের পরিবারকে তার কেনিয়ায় যাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করা’। হ্যাঁ, নিখিলের সঙ্গে দলজিতের বিয়ের কোনও আইনি স্বীকৃতিই নাকি নেই, এমনটাই দাবি করেছেন নিখিল। তবে পালটা প্রতিক্রিয়া মেলেনি দলজিতের তরফে। 

কেন আলাদা হলেন দুজনে? 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, দলজিৎ কেনিয়ার জীবনের সাথে সামঞ্জস্য স্থাপ করা কঠিন বলে মনে করেছিলেন, ভারতে তার কেরিয়ার জীবনকে মিস করেছিল। আমাদের পারিবারিক জটিলতা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠল ... সাংস্কৃতিক সংঘর্ষ, ভিন্ন মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসের কারণে এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং প্রমাণিত হয়েছিল… যেদিন সে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেদিন দলজিৎ আমাকে, তার ছেলের স্কুল এবং অন্যান্যদের জানিয়েছিল যে সে কেনিয়ায় থাকতে চায় না.. তার চলে যাওয়া আমার জন্য আমাদের সম্পর্কের সমাপ্তি চিহ্নিত করেছে’। 

অভিনেতার সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিকে 'আবেগপ্রবণ' বলে অভিহিত করে নিখিল বলেন যে এগুলি তাঁর বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের মধ্যে ‘বিভ্রান্তি ও সঙ্কটের সৃষ্টি করেছে’। তিনি বলতে গিয়েছিলেন যে দলজিৎ তার জীবনে 'ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন' তবে দলজিৎ তাঁর 'সীমা অতিক্রম করেছেন'। নিখিল আরও যোগ করেছেন দলজিতের পোস্টগুলির 'ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যার ফলে তাঁকে (নিখিলকে) এবং তাঁর পরিবারকে অপ্রয়োজনীয় হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে। নিখিল বলেন যে তিনি আশা করেন দলজিৎ এই আচরণ বন্ধ করবেন।

ইনস্টা পোস্ট দালজিৎ জানতে চেয়েছেন, ‘বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে আপনার ভাবনা কী? কাকে দোষ দেওয়া যায়?’ 'দ্য গার্ল', 'দ্য হাজব্যান্ড' এবং 'দ্য ওয়াইফ'-তিনটি বিকল্প থেকে একটি বাছতে বলেন তিনি। 

এই দম্পতিকে ঘিরে বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল, যখন তারা দুজনেই একে অপরকে আনফলো করেছিলেন এবং তাদের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে বিয়ে-সহ যাবতীয় কপল ছবি মুছে ফেলেছিলেন।