বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী আস্তাদ দেবুর প্রয়াণ, আরও এক রত্নকে হারাল সংস্কৃতি জগত

কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী আস্তাদ দেবুর প্রয়াণ, আরও এক রত্নকে হারাল সংস্কৃতি জগত

ফের নক্ষত্রপতন

মারণরোগ ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেলেন আস্তাদ দেবু। 

ভারতীয় সংস্কৃতির জগতে আবারও নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার আস্তাদ দেবু। বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। গত মাসেই আস্তাদ দেবুর শরীরে মারণরোগ ক্যানসারের বাসা বাঁধার খবর প্রকাশ্যে আসে। বৃহস্পতিবার সব লড়াইয়ে ইতি টেনে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী। আজ নিজ বাসভবনেই মৃত্যু হয়েছে তাঁরা। পরিবারের তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘আস্তাদ দেবু আজ সকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, উনি সাহসিকতার সঙ্গে বেঁচেছেন এবং লড়াই চালিয়েছেন। তবে ওঁনার উত্তারিধিকার আজীবন রয়ে যাবে, শিল্পকলার প্রতি ওঁনার আত্মসমর্পণ এবং বড়োমাপের হৃদয় ওঁনাকে সকলের মনে বাঁচিয়ে রাখবে- ওঁনার কয়েক হাজার গুণমুগ্ধ দর্শক বন্ধু, অনুরাগীর মনে। 

ভারতীয় ধ্রুপদী ও পাশ্চাত্য নৃত্যশৈলীর মেলবন্ধন তৈরির জন্য বিখ্যাত হন আস্তাদ দেবু। কনটেম্পরারি নাচের ঘরানায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কত্থক ও কথাকলির সংমিশ্রণে এক অনন্য ফিউশন ফর্মের রূপকার হিসাবে বিখ্যাত দেবু।

দেবুর দীর্ঘদিনের বন্ধু পদ্মা আলভা জানান, করোনা সতর্কতার জেরে পারিবারের তরফেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। অনুরাগীরা তাঁর শেষ দর্শনের সুযোগ পাননি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ ওয়ারলিতে আস্তাদ দেবুর নশ্বর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হয়। 

তিনি একবার বলেছিলেন যে একটা সময় ছিল যখন বেশিরভাগ ভারতীয় তাঁর নৃত্যশৈলীর মধ্যে পাশ্চাত্যের ব্যাপর প্রভাব খুঁজে পেত। তাঁদের মতে এটা 'যথেষ্ট ভারতীয় নয়'। সত্তর ও আশির দশকে এই স্টাইল দেখে অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিল, তবে নব্বইয়ের দশক থেকে পরিস্থিতি পালটাতে থাকে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতির আঙিনাতে মর্যাদা পায় কনটেম্পরারি ডান্স স্টাইল। 

 গুজরাতের নওসারি শহরে ১৩ জুলাই, ১৯৪৭ সালে জন্ম আস্তাদ দেবুর। গুরু প্রহ্লাদের কাছে কত্থকের তালিম নেন,এরপর গুরু ই কে পান্নিকেরের কাছে কথকলির তালিম শেষ করেন। তাঁর নাচের কেরিয়ার পাঁচ দশকের বেশি দীর্ঘ। গোটা বিশ্বের প্রায় ৭০ দেশে তিনি পারফর্ম করেছেন। 

এই নৃত্যশিল্পী তাঁর দাতব্য প্রচেষ্টার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। দুই দশক ধরে ভারতে ও বিদেশে মূক-বধির শিশুদের সাথে কাজ করেছিলেন। ২০০২ সালে তিনি ‘আস্তাদ দেবু ডান্স ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন যা প্রান্তিক শ্রেণির শিশুদের খুঁজে বার করে সৃজনশীল প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এই প্রতিভার বিচ্ছুরণ থেকে অধরা খাতেনি বলিউডের মানচিত্রও। মণি রত্নম, বিশাল ভরদ্বজের বেশ কিছু ছবিতে এবং কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী এম এফ হুসেনের ‘মীনাক্ষী: এ টেল অফ থ্রি সিটিস’-এ কোরিওগ্রাফি করেছেন তিনি। 

ভারতীয় নৃত্যশিল্পে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে ভারত সরকার প্রদত্ত সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পান তিনি, ২০০৭ সালে পান পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া শিল্পী মহলে। শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা অনুপম খের, নন্দিতা দাস, এয়সান নুরানি, নিমরিত কৌরসহ আরও অনেকে। 

বায়োস্কোপ খবর

Latest News

আসন্ন নতুন বাংলা বছর ১৪৩০, নাকি ১৪৩১? পয়লা বৈশাখ কবে? রইল নববর্ষের খুঁটিনাটি কাকলির প্রচারে ‘থিম সং’, বানালো তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আগে শুধু লেগে মারতাম তারপর...-কীভাবে বোলারদের ত্রাস হয়ে উঠেছেন, জানালেন হেড কিলো কিলো সোনা গায়ে পরতেন ‘বাপ্পিদা’, সেই সমস্ত গয়না এখন কার কাছে আছে জানেন খুঁজে বার করতে হয় ডিম! ইস্টার পালনের নানা অজানা নিয়ম ও তাৎপর্য অনেকেই জানেন না পিয়ার প্রাক্তন, অনুপমের উপর ‘নজরদারি’ পরমব্রতর; জানাজানি হতেই কী করলেন নায়ক? রাজা রামমোহন রায়ের সঙ্গে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে গুলিয়ে ফেলেছেন মোদী, দাবি মহুয়ার Health Care: শরীরকে ভিতর থেকে দূষণ মুক্ত করতে এই ডিটক্স পানীয় পান করুন মমতার 'মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে' বিস্ফোরক অভিজিৎ, 'এই মোদীর পরিবার?' প্রশ্ন TMC-র ‘মূল্য যাই চোকাতে হোক…’, পিলিভিটের প্রতি আবেগঘন চিঠি বরুণের

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.