গত বছর সারা পৃথিবী জুড়ে করোনার দাপাদাপি, মহামারির ফলে বিশ্ব বাজারে মন্দ দেখার ফলে কম বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। তবে করোনা যে হলিউড তারকাদের আয়ের ওপর কণামাত্র প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি তা তাঁদের আয়ের অঙ্কটা জানলেই দিব্যি স্পষ্ট হয়ে যাবে। যেখানে বিগ বাজেটের সব ছবি শুটিং বন্ধ হয়ে রয়েছে কিংবা তৈরি হয়েও ক্যানবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে, সেখানে হলি-তারকাদের আয় কমার বদলে বেড়েছে কয়েক গুণ! তালিকায় রয়েছে ড্যানিয়েল ক্রেগ, জেনিফার লরেন্স, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, ডোয়েন জনসন -এর মতো তারকারা।
তবে সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন 'জেমস বন্ড' খ্যাত অভিনেতা ড্যানিয়েল ক্রেগ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভ্যারাইটি ম্যাগাজিন সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী কয়েকজন হলিউড তারকার তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকার একেবারে প্রথম নামটি রয়েছে ড্যানিয়েল ক্রেগের। 'জেমস বন্ড' তারকা ব্যক্তিজীবনে এমনিতেও স্পটলাইটের বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। তাই নিজের নতুন ছবি কিংবা আয়ের ব্যাপারে ফলাও করে বলা, এসবের মধ্যে কখনওই ড্যানিয়েল থাকেন না। তবে ভ্যারাইটির প্রকাশিত ওই তথ্য অনুযায়ী নেটফ্লিক্সের সঙ্গে জনপ্রিয় ক্রাইম থ্রিলার সিরিজ 'নাইভস আউট' এর আরও দুটি সিক্যুয়েলে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। বিনিময়ে পাচ্ছেন ১০০ মিলিয়ন ডলার! ভারতীয় নিদ্রায় যা দাঁড়ায় ৭৪৩ কোটি টাকা।
জানা গেছে, 'নাইভস আউট' এর এই দুটি ছবিতেও প্রথমটির মতো ডিটেকটিভ বেঁনোয়া ব্লাঙ্ক-এ চরিত্রেই দর্শকদের সামনে হাজির হবেন এই জনপ্রিয় হলিউড তারকা। 'নাইভস আউট' ছবির টিমের সঙ্গে ৪৬৯ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে নেটফ্লিক্স। তাঁদের দেওয়া শর্তের মধ্যে অন্যতম দুই শর্ত ছিল যে এই সিরিজের দুটো সিক্যুয়েলেই থাকবেন ড্যানিয়েল এবং ছবির বাজেট 'নাইভস আউট' সিরিজের প্রথম ছবির বাজেটের থেকে কোনওভাবেই কম করা যাবে না।
অন্যদিকে, আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে হলেও 'জেমস বন্ড' এর পারিশ্রমিকের প্রায় অর্ধেক টাকা পকেটে পুরেছেন 'দ্য রক' ওরফে ডোয়েন জনসন। জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমের এর সঙ্গে 'রেড ওয়ান' এবং নেটফ্লিক্সের 'রেড নোটিস' এই দুটি ছবিতে প্রধান ভূমিকায় দেখা যাবে এই জনপ্রিয় হলি-তারকাকে। ৩০ মিলিয়ন এবং ২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে যথাক্রমে 'জেমস বন্ড' এর থেকে আয়ের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও এবং জেনিফার লরেন্স।