কেরিয়ারের একদম গোড়ার দিকে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। সুপারস্টার সানিকে ছাপিয়ে ‘ডর’-এ সাবর নজর কেড়েছিলেন ‘কিরণ’-এর সাইকো-প্রেমিক শাহরুখ খান। চলতি বছরেই ৩০ বছর পূর্ণ করবে শাহরুখ-সানি-জুহি অভিনীত এই ছবি। ১৯৯৩ সালের ২৪শে ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল এই কালজয়ী ছবি। বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা করেছিল যশ রাজ ফিল্মসের এই ছবি। তবে এই ছবি সম্পর্কে একটা কথা হয়ত অনেকেই জানেন না। ‘ডর’ ছবির
যশ জোহরের সঙ্গে পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে উদয় চোপড়া জানিয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর বন্ধু হৃতিক রোশন একটি হলিউড ছবি দেখেছিলেন ‘ডেড কাম’ (Dead Clam), সেটি তাদের অসম্ভব ভালো লাগায় দাদা আদিত্য চোপড়াকে ওই ছবি দেখান তাঁরা। নিকোল কিডম্যান বিলি জেন, স্যাম নীল অভিনীত ওই অস্ট্রেলিয় ছিল এতটাই মনে ধরেছিল আদিত্য চোপড়ার যে ওই ছবির অনুপ্রেরণা নিয়েই ‘ডর’ তৈরি হয়।
উদয় আরও জানায়, ‘এটাও অনেকে জানে না যে হৃতিক নিজে একটি অপেশাদার ছবি তৈরি করেছিল যার টাইটেল ছিল ডর। আদি (আদিত্য চোপড়া) হৃতিককে তোর এই টাইটেল-টা আমাদের ছবির সঙ্গে খুব ভালো যাবে তাই এটাই আমি ব্যবহার করব’। যদিও এই গোটা ব্যাপার সম্পর্কে কিছুই জানতেন না খোদ ‘ডর’ ছবির পরিচালক যশ চোপড়া।
২০০০ সালে ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবির সঙ্গে অভিনেতা হিসাবে কেরিয়ার শুরু হৃতিকের। তবে শিশু শিল্পী হিসাবে নিজের বাবার প্রোডাকশনে কাজ করেছেন হৃতিক। এমনকি ‘খুদগর্জ’ (১৯৮৭), ‘কিং আঙ্কেল’ (১৯৯৩), ‘করণ অর্জুন’ (১৯৯৫), ‘কোয়েলা’ (১৯৯৭)-র মতো ছবিতে বাবার সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন হৃতিক। এই সকল ছবির বেশিরভাগেরই হিরো ছিলেন শাহরুখ খান। পরবর্তীতে শাহরুখের সঙ্গে ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতে অভিনয় করেছেন হৃতিক। করণ জোহরের এই ছবিতে শাহরুখের ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাকেশ রোশন পুত্র।