লকডাউনের মধ্যেই মৃত্য হয়েছে অভিনেতা ঋষি কাপুরের। বলিউডের চকোলেট বয়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। লকডাউনের নিয়ম মেনেই হবে অভিনেতার শেষকৃত্য, আগেই জানিয়েছে পরিবার। আজ সন্ধ্যায় চন্দনওয়াড়ি শ্মশানে ঋষি কাপুরের শেষকৃত্য আয়োজন করা হয়েছে। বাবাকে শেষবারের মতো দেখতে চেয়ে দিল্লি সরকারের কাছে মুম্বই যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন ঋষি কাপুরের একমাত্র মেয়ে ঋদ্ধিমা। অনুমতি মিলেছে। কিন্তু বন্ধ উড়ান, ট্রেন চলাচল- তাই চাটার্ড বিমানে শ্বশুরবাড়ি দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ঋদ্ধিমা কাপুর সাহানি। সন্ধ্যা ৬ টায় মুম্বই পৌঁছোবেন ঋদ্ধিমা। তারপর চন্দনওয়াড়ি শ্মশানে শেষকৃত্যের হবে ঋষি কাপুরের।
এদিন দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি জানান, সকাল সাড়ে দশটার সময় ঋদ্ধিমা কাপুরকে মুম্বই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঋদ্ধিমা সহ পাঁচজনকে মুম্বই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি তাঁর পিতার শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারেন। সকাল দশটা নাগাদ ঋদ্ধিমা আবেদন জানিয়েছিলেন, সেই আবেদনে শিলমোহর দেয় দিল্লি পুলিশ।
মেয়ে সামারা ও স্বামী ভরত সাহানির সঙ্গে মুম্বই ফিরছেন ঋদ্ধিমা। শুধু মেয়ে ঋদ্ধিমাই নয়, নাতনি সামাইরাও ঋষি কাপুরের সবচেয়ে আদরের। তাই লকডাউনেও যে কোনও মূল্যে বাবার অন্তিম দর্শন পেতে মুম্বই ফিরছেন ঋষি কাপুর কন্যা। গতকাল বাবার অসুস্থতার খবর পেয়েই মুম্বই যেতে উদ্যোগী হয়েছিলেন ঋদ্ধিমা। কিন্তু পৌঁছানোর আগেই সব শেষ। চলে গেলেন ঋষি কাপুর।
ঋষি কাপুরের মৃত্যুর পর ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন বার্তাও পোস্ট করেন ঋদ্ধিমা। বাবার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, 'বাবা তুমি জানো আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি। ভালো থেকো আমার সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধা, আমি তোমাকে প্রতিদিন মিস করব, তোমার ফেসটাইম কল আরও বেশি করে মিস করব! আবার দেখা হবে...ভালোবাসা নিও পাপা...'
মুম্বইয়ের স্যার এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৪৫-এ মৃত্যু হয়েছে প্রবাদপ্রতিম বলিউড তারকা ঋষি কাপুরের। দীর্ঘ দুবছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন ঋষি কাপুর। থেমে গেল সেই লড়াই।