'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'-এর হাত ধরে OTT-দুনিয়ায় পা রেখেছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দেবলায় ভট্টাচার্য পরিচালিত এই ওয়েব সিরিজটি বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। তবে এসবের মাঝেই এল অভিযোগ, ফেসবুকে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জয়তী চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, ওয়েব সিরিজের জন্য 'আমি একা চিনি' নামে একটি গান তিনি গেয়েছিলেন, তবে ওয়েব সিরিজটি দেখতে বসে নিজের গাওয়া গানটি শুনতে পাননি। তাঁকে না জানিয়ে তাঁর গাওয়া গানটি অন্য কাউকে দিয়ে গাওয়ানোর কারণে দুঃখ পেয়েছেন বলে ফেসবুকে জানান জয়তী।
জয়তী চক্রবর্তীর অভিযোগ নিয়ে পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঠিক কী ঘটেছে তা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা-কে জানান। দেবালয় বলেন, ‘আমি নিজে জয়তীদির (জয়তী চক্রবর্তী) গুণমুগ্ধ একজন ভক্ত। উনি গানটি ভীষণই ভালো গেয়েছেন। গানটি ইন্দুবালা-র অ্যালবামে রয়েছে। এই সপ্তাহে গানটির মিউজিক ভিডিও রিলিজ করতে চলেছে। গানটি আসলে আমি ইন্দুবালার আগামী সিজন, যেটা আসতে চলেছে তাতে রেখেছি।’
জয়তী চক্রবর্তীর অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিচালক দেবালয় বলেন, ‘আসলে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কারণ, ওনাকে একটা দৃশ্য দেখিয়ে, সেটার জন্য প্রথমে গানটি গাইয়েছিলাম। পরে গল্প বলার সময় অনেক কিছুই বদলে যায়। এডিট টেবিলে গিয়ে দেখি, ইন্দুবালার বয়স যখন বেড়ে যাচ্ছে, তখন সেখানে জয়তীদির গলা ব্যবহার করলে অনেক ভালো শোনাচ্ছে। তাই দ্বিতীয় সিজনে গানটি রেখেছি। পুরোটাই পরিচালক হিসাবে সৃজনশীলতার প্রয়োজনেই করেছি। বাকি ৪টি এপিসোড দেখে কথা বললে, কিংবা আমার সঙ্গে কথা বললে ভালো হত। তার আগেই অভিযোগ, এটাই অদ্ভুত লাগে! আসলে জয়তীদি আবেগপ্রবণ, সেকারণেই হয়ত উনি বলে ফেলেছেন। একজন ভালো কাউকে দিয়ে গাইয়ে কেন সেটা নষ্ট করব! যদি ব্যবহার না করতাম তাহলে কি আলাদা করে জয়তীদির গাওয়া গানের মিউজিক ভিডিয়ো কি বের করতাম! তবে কখনও কখনও এটাও হয় কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটাও হয় বড় শিল্পী গাওয়ার পরও দৃশ্যের প্রয়োজনে মনে হল সেই গায়কী হয়ত ঠিক যাচ্ছে না। যদিও এক্ষেত্রে সেটা হয়নি। পুরোটাই একটি ভুল বোঝাবুঝি। আসলে এডিট করার সময় ইক্সিতার গাওয়াটা গানটা রিদমে কেটেছিলাম, জয়তীদির গান অনেক ম্যাচিওর, এডিটের সময় গল্প বলার সঙ্গে তখন সেটা যাচ্ছিল না। সেসময় এপিসোডটা রি-এডিট করার পরিস্থিতিও ছিল না। জয়তীদির গান পরের পর্বে রাখা হয়েছে। গানটা এমনিতেই আমায় দু'বার ব্যবহার করতেই হত। ’
আরও পড়ুন-‘মিথ্যাচার!’, শুভশ্রীর ইন্দুবালা থেকে না জানিয়েই বাদ গান, ক্ষোভ জয়তী চক্রবর্তীর
এদিক এই অভিযোগের বিষয় সঙ্গীত পরিচালক অমিত চট্টোপাধ্যায় ফেসবুকে লেখেন, ‘আজ জয়তী দি পোস্ট না দিলে জানতেও পারতাম না কত মানুষ বাংলা গান শোনেন এবং এখানকার শিল্পী দের নিয়ে ভাবেন, তারপর ও কোনো কোনো শিল্পী হেনস্থা হন, সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রলড হন, রেডিও তে বাংলা গান চলেনা কারন রেডিও কর্মকর্তাদের মত কেউ শোনেনা। কোনো গানের চ্যানেল ও নেই ডেডিকেটেড। তবুও নতুন শিল্পীরা গান শোনেনা বলে মাথা চাপড়ান। আমি একা চিনি বলে যে গানটি নিয়ে এত বিতর্ক সেই গানটি একটি অরিজিনাল কম্পোজিশন সেটাই অনেকে বুঝতে পারেনি ভেবেছে অতুলপ্রসাদ বা রবীন্দ্রসঙ্গীত ঠিক করে ক্রেডিট লিস্ট ও ফলো করেনা। একটা ছোট্ট হিসেব দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি কটা লোক বাংলা গান শোনেন বোঝা যাবে, সারা পৃথিবীতে প্রায় ২৬ কোটি বাঙালি বর্তমান তাও বাংলা গানের ভিউ ১ মিলিয়ন পৌঁছলেও অনেক বা হিট ধরা হয়.. এই বিতর্কের ফলে গান টা সবাই শুনলে প্রচেষ্টা সফল হয়। জয়তীদি একজন অসম্ভব ভালো এবং গুণশিল্পী তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা অপরিসীম ওনার উদ্দেশ্যে এই লেখা নয়, আমার লেখার মূল লক্ষ্য কিন্তু কমেন্ট বক্স-এ কমেন্ট করা বাঙালিদের উদ্দেশ্যে। আপনাদের সকলের উৎসাহ আমি দেখেছি এই বিতর্কের আদ্যোপান্ত না জেনে কমেন্ট করতে এবং অবাক হয়েছি কতটা ভাবেন আপনারা বাংলার কাজের জন্যে গানের জন্যও.. কজন সিরিজ টা দেখেছেন এবং গান share করেছেন জানতে মন চায়, প্রত্যেক এর প্রোফাইল আমি ভিসিট করেছি কোথাও ইন্দুবালা ভাতের হোটেল এ অডিও প্লাটফর্ম এ বেরোনো জয়তী দির গানের কোনরকম পোস্ট আমি দেখিনি.. আনন্দ হলো কারন আমি আমার অলমোস্ট সব সিরিজ এই জয়তীদির গলা ব্যবহার করেছি পরবর্তী সময়ও করবো আপনারা কতজন শুনবেন ?’