জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সামিল হতে গিয়ে তৃণমূলের কুণাল ঘোষ ও দেবাংশু ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্য। তারপরই মৌসুমীকে আশালীন ভাষায় পাল্টা আক্রমণ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য। এরপরই তীব্র ট্রোল ও নিন্দার মুখে পড়তে হয় কুণাল ও দেবাংশুকে। অভিনেত্রী মৌসুমীকে এধরনের আক্রমণের জন্য তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন, অভিনেতা-পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, রূপাঞ্জনা মিত্র সহ আরও অনেকেই। এমনকিই খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ট্যাগ করে এধরনের মন্তব্যের জন্য পদক্ষেপের দাবি করেন সুদীপ্তা।
এই পরিস্থিতিতে এবার দেবাংশুর হয়ে ব্য়াট ধরলেন রাজর্ষি রায় নামে এক ডিজিটাল ক্রিয়েটার। আর রাজর্ষির সেই পোস্ট শেয়ার করে ট্রোলের মুখে একপ্রকার পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য। কিন্তু ঠিক কী বলা হয়েছে রাজর্ষি রায়ের সেই পোস্টে?
রাজর্ষি রায় লেখেন, ‘কালিঘাটের ময়না, কালিঘাটের ডাইনি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে অশ্লীল মিম, কাজের মাসির মত দেখতে ইত্যাদি বলা থেকে সাদা শাড়ি খুলে নেওয়ার মত মারাত্মক থ্রেট যখন আপনারা ও আপনাদের সমর্থকেরা দেন তখন আপনাদের এই মর্দাঙ্গি সর্বোচ্চ হয়ে ওঠে। ৭০ বছরের এক মহিলাও তখন হয়ে ওঠেন আপনাদের কাছে সফট। বিশ্বাস করুন আপনাদের মত দ্বিচারিতা কেউ করতে পারে না, কেউ না। যখন নোংরামি করবেন পালটা এলে সহ্য করার ক্ষমতাও রাখবেন। কাঁদুনি গেয়ে আর ভিক্টিম রোল প্লে করার জায়গা নেই।৷ আপনাদের বাবা কর্তৃক লিখিত দেওয়াল এ বাংলা দেখে নিয়েছে। সব্বাই সব জানে।সব।’
ঠিক কী বলেছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্য?
কুণাল-দেবাংশুর প্রতি তোপ দেগে মৌসুমী বলেছিলেন ‘এই কুণাল ঘোষ, আর এই যে ছেলেটা, আমি নামও ভুলে যাই, হ্যাঁ দেবাংশু। যেদিন পাবলিকের হাতে পড়বে, দেখব কী হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাঁচাতে আসবে না। বাড়িতে বসে বসে প্রেসকে লেকচার দেয়। একদিন না একদিন পাবলিকের সামনে আসতেই হবে। একদিন না একদিন, ডাক্তারের কাছেও যেতে হবে। অসুস্থ তো সবাই হয়। সেই দিনটা খুব ভয়ানক ওদের কাছে।’
ব্যাস, এরপরই মৌসুমীকে আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ দেবাংশুর উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘হ্যাঁরে দেবাংশু, তোর পাত্রী দেখার কাজটা এগোব? তোর সঙ্গে বেশ মানাবে। রাগের মধ্যেই থাকে অনুরাগের বীজ। তাছাড়া, কেমন সংস্কার মানে, স্বামীর নাম মুখে আনতে চায় না। আমার তো নিজেকে এখনই ভাসুর ভাসুর লাগছে।’ কুণালবাবুর এই কথা প্রসঙ্গে দেবাংশু তখন লেখেন, ‘বলছ তাহলে Kunal দা? তুমি খুঁজে দিচ্ছ মানে এত সহজে কি না বলতে পারি! কিন্তু গলা শুনে মনে হচ্ছে বড় দজ্জাল.. টিকবে কি? বিনয় কোঙারের মতো "লাইফ হেল" করে দেবে তো! এ বাবা! এমা.. দাঁড়াও দাঁড়াও… বিবাহিত তো! সরি… সিরিয়ালে কাজ নেই। ডাক্তারদের আন্দোলনে বিরিয়ানি খেতে গেছে। আমাদের নাম নিয়ে একটু ফুটেজও খাক।’
যদিও এরপরে এধরনের অশালীন মন্তব্যের কারণে ট্রোলড হতে শুরু করলে নিজের বক্তব্য এডিট করে পোস্ট করেন দেবাংশু। তবে ততক্ষণে তাঁর বক্তব্য়ের স্ক্রিনশট নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।