অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের মাধ্যমে দত্তক নেওয়া পোষ্য সারমেয় মারা গিয়েছে রেড ভলেন্টিয়ার্সের সদস্য শশাঙ্কর হাতে। তারপরই শুরু হয় জলঘোলা। কিছু মানুষ শশাঙ্ককে মারধরও করেন বুধবার। গতকাল ২৬ অগস্ট ছিল হ্যাপি ইন্টারন্যাশনাল ডগ ডে। সারা বিশ্বের সারমেয়প্রেমী মানুষরা এদিন নিজেদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় পোষ্যের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্রিট ডগদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হওয়ার আবেদন রেখেছেন। কিন্তু খবরে তখনও শ্রীলেখা-শশাঙ্ক। মারা যাওয়া সেই খুদে পথপশুটার জন্যও মন কাঁদছে অনেকের। এবার এই ঘটনায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন আরও এক পশুপ্রেমী অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। তাঁর মতে, ‘কফি ডেটের উপহার কখনওই বাচ্চা কুকুর হতে পারে না।’
দীর্ঘ কুড়ি বছর সারমেয়দের নিয়ে কাজ করছেন দেবশ্রী। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এবিষয়ে জানান, ‘পশুদের দত্তক দেওয়ারও কিন্তু একটা নিয়ম আছে। হুট করে কফি খাওয়ার নাম করে হয় না। কত কী হল দেখুন। ছেলেটি মারও খেল। এসবের কোনওটাই ঠিক নয়। আসলে আমরা পশুপ্রেমীরা আবেগপ্রবণ হই। ওদেরকে সন্তান হিসেবে দেখি। ফলত, যদি কোনও বাচ্চা এভাবে মারা যায়, খুব ইমোশনাল হয়ে আমরা রিয়্যাক্ট করে ফেলি। হয়তো এই মহিলাও রিয়্যাক্ট করে ফেলেছেন। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে একটি কফি ডেটের উপহার কখনোই একটি বাচ্চা কুকুর হতে পারে না। একটা বাচ্চাকে সেই মানুষটি নিয়ে যাচ্ছে যখন, তখন দায়িত্বের প্রশ্ন আসে সেখানে। আমদের মানুষ হিসেবে আরও সচেতন হতে হবে। যদি সচেতন হতাম, এই ঘটনাগুলো ঘটত না।’
যদিও শ্রীলেখাও বারবার নিজের ভুল মেনে নিয়েছেন। জানিয়েছেন, আবেগের বশে কারও হাতে ছোট্ট একটা শিশু তুলে দেওয়া তাঁর ঠিক হয়নি। সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি যতই রাগ দেখান গুণ্ডা পাঠিয়ে শশাঙ্ককে মারার কথা কল্পনাও করেননি। নিজে বরং, সব মিলিয়ে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। এমনকী, নিজের ঘোরার পরিকল্পনাও ক্যানসেল করেছিলেন খবর পাওয়ার পর। হোটেলের ঘরে বন্দি করে রেখেছিলেন নিজেকে।
রেড ভলেন্টিয়ার্সদের অনেকেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীলেখার সমালোচনা করেছেন। যার উত্তরে অভিনেত্রী স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ‘কে কী ভাবল তাতে কিছু যায় আসে না। বিধানসভা ভোটের আগে সবাই যখন তৃণমূল-বিজেপি যাচ্ছিল, এই শ্রীলেখাই কিন্তু বামেদের হয়ে প্রচার করেছে। তাই নিজেকে ছাড়া কাওকে কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। যান।’