রবিবার। মহালয়ার দুপুর। তবে পেটপুজো আর ভাতঘুমের অবকাশ নেই তাঁর। দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়ের। পুজোর ক'টা দিন টানা ছুটি। তাই ধারাবাহিকের আগাম পর্বের শ্যুট চলছে আপাতত। তারই মাঝে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ফোনে আড্ডায় মজলেন পর্দার 'চিঠি'।
পুজোর কয়েকটি দিন কী করবেন? প্রশ্ন করতেই দেবচন্দ্রিমার উত্তর, 'আমার কোনও বন্ধু নেই। তাই বাড়ি থেকে বেরবো না। পরিবারের সকলের সঙ্গেই সময় কাটাব। বাড়ির সকলের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেব। আর খাওয়াদাওয়া করব। চিংড়ি মাছের মালাইকারি আর ধোঁয়া ওঠা ভাত আমার চাই-ই চাই!'
এত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন, অথচ কোনও বন্ধু হল না? অভিনেত্রীর স্পষ্ট উত্তর, 'আসলে সবাই খুব স্বার্থপর। নিজের কথাই ভাবে। স্কুল-কলেজের বন্ধুদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই রকম। তাই পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর আর যোগাযোগ থাকেনি। কাজের ব্যস্ততায় পরিবারের মানুষগুলোকে সময় দিতে পারি না। পুজোর কয়েকটা দিন না হয় ওদের সঙ্গেই কাটালাম!'
(আরও পড়ুন: শরীরি ভাঁজে চুঁইয়ে পড়ছে উষ্ণতা, ‘চিঠি’র সেক্সি পোজ দেখে বেসামাল ‘নবাব’ রিজওয়ান)
দেবচন্দ্রিমা আদতে সিঙ্গুরের মেয়ে। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। ব্যস্ত রুটিনে ফাঁক পেলেই তাই ছুটে যান কাছের মানুষদের কাছে। পুজোও ব্যতিক্রম নয়। তবে দশমীতে যদিও শহর ছাড়ছেন 'চিঠি'। গন্তব্য কেদারনাথ।
(আরও পড়ুন: প্রেম পাক্কা, ‘চারু’ দেবচন্দ্রিমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় যা লিখল ‘আর্য’ রিজওয়ান…)
খাওয়াদাওয়া, ঘোরাফেরা সবই তো হবে! আর পুজোর প্রেমটা? হেসে দেবচন্দ্রিমা বললেন, 'ছোটবেলায় মণ্ডপে অনেককে দেখে ভালো লাগত। তবে সেটাকে প্রেম বলা যায় না। নিছকই ভালোলাগা। আর তার পর আমি একটা সম্পর্কে ছিলাম। এখন আমি একা ভালোই আছি। নিজের মতো করে জীবন উপভোগ করছি।'