আরও শত শত পর্যটকদের মতো দেবদূত ঘোষের ভাইও কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই যে এমন বিপদ অপেক্ষা করেছিল কে জানত! আপাতত প্রাণ হাতে করে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। কিন্তু তার আগে এদিন কী প্রশ্ন তুললেন অভিনেতা তথা বাম নেতা?
আরও পড়ুন: যশকে সঙ্গে নিয়ে বোনের বিয়েতে নুসরত! নজহত সাতপাকে বাঁধা পড়তেই লিখলেন, ‘আমার ছোট্ট বোনটা তার…’
কী ঘটেছে?
দেবদূত ঘোষ আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, তাঁর ভাইরা অনেকে মিলে একসঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এখন তাঁরা একসঙ্গে ফেরার টিকিট পাচ্ছেন না। রীতিমত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা সেখানে। শুধু তাই নয় তিনি প্রশ্ন তোলেন আকাশছোঁয়া বিমান ভাড়া নিয়ে। দেবদূতের প্রশ্ন, 'ওরা এখন চেষ্টা করছে যাতে ভাগে ভাগে ফিরতে পারে। প্রায় ৩৩ হাজার টাকা ছুঁয়েছে কাশ্মীর থেকে কলকাতা ফেরার টিকিটের দাম। ২২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে দিল্লি হয়ে ফিরতে।' বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এই সময় কেন কিছু করছে না সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দেবদূত। বলেন 'সব টিকিট তো ওদের কাটা ছিল। কিন্তু এই অবস্থায় পড়ে আগে ফিরতে হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: টিমটিম করছে 'জাট'-র ব্যবসা, এদিকে ৪৫ কোটির দোরগোড়ায় ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’! বুধবার কত আয় করল?
শুধু তাই নয় এত বড় জঙ্গি হানা কীভাবে ঘটল সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দেবদূত ঘোষ। তিনি নিজে কাশ্মীর বেরিয়ে এসেছেন। জানেন সেখানে ১০০ মিটার অন্তর অন্তর সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করা থাকে। তাহলে এই ২৬ জনের প্রান কীভাবে গেল? কী করছিল সেই সময় সেনা? দেবদূত ঘোষের কথায়, 'গাফিলতি তো রয়েছেই নিরাপত্তায়। কেন্দ্রীয় সরকার আরও একবার ব্যর্থ হল নিরাপত্তা দেওয়ার দিক দিয়ে, পুলওয়ামার মতোই।'
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসরন উপত্যকায় অন্তত ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ মানুষ, ট্যুরিস্ট। ২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা, প্রতিবাদ করেছেন।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলার জিবলি পোস্ট করতেই 'অশিক্ষিত' বলে কটাক্ষ, তড়িঘড়ি পোস্ট ডিলিট দর্শনার! চাইলেন ক্ষমাও