সাত মাসের মেয়েকে কোলে নিয়ে ফের মা হলেন বাঙালি অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়! হ্যাঁ, গত এপ্রিলে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন দেবিনা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের মা হলেন অভিনেত্রী। খবর শুনে অবাক সকলেই!
শুক্রবার হিন্দি টেলিভিশনের ‘রাম-সীতা’ জুটি গুরমিত-দেবিনার কোল আলো করে এসেছে কন্যা সন্তান। ইনস্টাগ্রামে এই সুখবর ভাগ করে নিয়েছেন খোদ অভিনেতা। এই খুশির মুহূর্তে গোপনীয়তা বজায় রাখবার আবেদন জানান গুরমিত। তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্সে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিচ্ছেন ফ্যান ও সেলেবরা। তবে অনেক নেটিজেনই বেশ হয়রান মাত্র সাত মাসের ব্যবধানে দেবিনার দু-বার মা হওয়ার ঘটনায়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ জন্ম হয়েছিল গুরমিত-দেবিনার মেয়ে লিয়ানার। এখনও ভালোভাবে হাঁটতেও শেখেনি সে, ইতিমধ্যেই দিদি হয়ে গেল লিয়ানা। এদিন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মেটারনিটি শ্যুটের একটি ছবি পোস্ট করেন গুরমিত। সেখানে দেবিনার কপালে আলতো চুমু আঁকলেন অভিনেতা। সাদা-কালো এই ছবিতে একগুচ্ছ গোলাপি বেলুন ধরে রয়েছেন দেবিনা। আর লেখা- 'It's a Girl' (মেয়ে হয়েছে)। এই ছবি শেয়ার করে গুরমিত লেখেন- ‘আমরা এই দুনিয়ায় স্বাগত জানালাম আমাদের মেয়েকে। ফের বাবা-মা হয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। তবে এই সময় আমরা গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাই, যেহেতু সময়ের আগেই আমাদের কন্যে এই পৃথিবীতে এসেছে। প্রার্থনা করুন, ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন আগের মতোই’।
গুরমিতের পোস্টে স্পষ্ট প্রি-ম্যাচিওর বেবি হয়েছে দেবিনার। তবুও এত জলদি অভিনেত্রী দ্বিতীয়বার মা হওয়ায় ট্রোলও করছেন অনেকে। কেউ কেউ লিখছেন, ‘কপিল শর্মাকেও হারিয়ে দিল গুরমিত-দেবিনা। এক বছরেই দু-বার!’
শোভাবাজারের মেয়ে দেবিনা। ২০০৬ সাল থেকে অভিনেত্রী ডেট করেছেন পঞ্জাবি মুন্ডা গুরমিতকে। এনডিটিভি ইমাজিন চ্যানেলে রাম ও সীতার চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন এই জুটি। সেখান থেকে সম্পর্ক। ৬ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১১ সালে সাত পাক ঘোরেন দুজনে। ‘নাচ বলিয়ে’র মতো ডান্স রিয়ালেটি শো-তে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে দুজনকে।
‘গীত.. হুয়ি সবসে পরাই’, ‘পুনর্বিবাহ’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে কাজ করেছেন গুরমিত। ‘ওজাহ তুম হো’, ‘পল্টন’-এর মতো সিনেমাতেও দেখা গিয়েছে। দেবিনা কাজ করেছেন ‘খামোশ’ ছবিতে। তবে আপাতত ব্লগিংয়ে মন দিয়েছেন।
গত অগস্ট মাসে মা হওয়ার খবর শেয়ার করে দেবিনা লিখেছিলেন, 'কিছু সিদ্ধান্ত ভগবানের সময় মেনে হয়, সেটা কেউ পাল্টাতে পারে না। এটা তেমনই একটা আশীর্বাদ। সে আসছে আমাদের পরিপূর্ণ করতে।'