সাত মাসের ব্যবধানে দু-বার মাতৃত্বের সুখ লাভ করে সকলকে চমকে দিয়েছেন দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছর এপ্রিল মাসে গুরমিত-দেবিনার কোল আলো করে এসেছিল লিয়ানা, গত সপ্তাহেই (১১ নভেম্বর) ফের একবার মেয়ের মা হয়েছেন দেবিনা। বিয়ের ১১ বছর পর সন্তানসুখ লাভ করেন এই তারকা দম্পতি। প্রাকৃতিকভাবে সন্তান ধারণের বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন দেবিনা। এরপর বাধ্য হয়েই IVF পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেন এই বাঙালি অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, আইফিএভ ট্রিটমেন্ট চলাকালীন হাসপাতালে তাঁকে দেখে লোকজনের ফিসফিসানি কেমনভাবে তাঁর মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ সকলে ভাবত, দেবিনা অন্তঃসত্ত্বা এবং সেটি গোপন রাখবার চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী।
দেবিনা জানান, একবার নয়, তিন দফায় আইভিএফের মাধ্যমে কনসিভ করতে ব্যর্থ হন তিনি। চার নম্বর বার তাঁর গর্ভে আসে লিয়ানা। একটা সময় দেবিনার মনে হয়েছিল কোনওদিন মা-ই হতে পারবেন না তিনি। মা না হতে পারবার জেরে আত্মীয়দের কাটক্ষের মুখে পড়েছেন গুরমিত ঘরণী?
বলিউড বাবলকে দেবিনা জানান, ‘সুখবরটা কবে দিচ্ছো?' এমন কথা হামেশাই শুনতে হয়েছে আত্মীয়দের কাছে। দেবিনার জানান, তাঁর মনে হত, ‘সুখবর না দিতে পারলে কি আমি কাউকে কোনও খুশি দিতে পারি না?' তিনি যোগ করেন, ‘একটা মানুষ যে বার বার চাইছে সকলকে সুখবরটা দিতে, কিন্তু পারছে না তাঁর কাছে এটা খুব কষ্টদায়ক।’
দেবিনা জানান, আইভিএফ ট্রিটমেন্ট চলাকলীন খুব সংবেদনশীল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। যেহেতু তাঁর শরীরে অনেক রকমের হরমোনের ইনজেকশন দেওয়া হত। দেহের ওজন পর্যন্ত বেড়ে দিয়েছিল। পেটের কাছে মেদ জন্মানোয় তা বেশ ফোলা দেখাতো, যা দেখে অনেকেই প্রশ্ন করেছে- ‘তুমি কি প্রেগন্যান্ট?’ এই প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে ভয় লাগত দেবিনার। 'আমি অন্তঃসত্ত্বা নই, এটা মুখ ফুটে বলতে পারতাম না। আমি খুব চিন্তিত ছিলাম, আর ভেঙেও পড়েছিলাম। আমার নিজেকে বড্ড একা লাগত', যোগ করেন অভিনেত্রী।
শোভাবাজারের মেয়ে দেবিনা। ২০০৬ সাল থেকে অভিনেত্রী ডেট করেছেন পঞ্জাবি মুন্ডা গুরমিতকে। এনডিটিভি ইমাজিন চ্যানেলে রাম ও সীতার চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন এই জুটি। সেখান থেকে সম্পর্ক। ৬ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১১ সালে সাত পাক ঘোরেন দুজনে। ‘নাচ বলিয়ে’র মতো ডান্স রিয়ালেটি শো-তে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে দুজনকে।