তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। বন্ধু হিসেবেও পুরো নম্বর পেতে পারেন তিনি। তিনি— আমির খান।
একই কলেজে পড়াশোনা করতেন অভিনেতা দীপক তিজোরি এবং আমির। সেখান থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব। পেশাগত ক্ষেত্রে বন্ধুকে একাধিক বার সাহায্য করেছিলেন আমির। পাইয়ে দিয়েছেন কাজ। অতীতে এক সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছিলেন দীপক স্বয়ং।
'বড় তারকা' হয়ে যাওয়ার পরেও বদলে যাননি আমির। মনে রেখেছিলেন বন্ধুর কথা। তিনি বলেন, 'আমি 'জো জিতা ওহি সিকন্দর' ছবিতে আমিরের সঙ্গে কাজ করেছিলাম। পরে জানতে পারি, ও পরিচালককে আমায় নেওয়ার কথা বলেছিল।'
নিঃশব্দে বন্ধুকে সাহায্য করে গিয়েছেন। কখনও ঢাকঢোল পিটিয়ে নিজের উদারতার কথা প্রচার করেননি। আমিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দীপক বলেন, 'আমির যে আমাকে সাহায্য করেছে, সে কথা ও কখনও কাউকে জানায়নি। মানুষটা চুপচাপ নিজের কাজ করায় বিশ্বাসী। পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে জানে। এমনকী 'গুলাম' ছবিতেও ও আমাকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিল। পরিচালক বিক্রম ভাটের সঙ্গে আমাকে দেখা করতে বলেছিল। ওর সাফল্যের যাত্রা আমি দেখেছি। ওর জন্য আমি খুশি।'
(আরও পড়ুন: বক্স অফিসে ভরাডুবি লাল সিং চড্ডার, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমিরের পরবর্তী ছবি মোগুল?)
নয়ের দশকে একের পর এক সফল ছবি করেছেন দীপক। 'আশিকি', 'কাভি হাঁ কাভি না' সেগুলির মধ্যে অন্যতম। আমিরের সঙ্গে করা ছবিগুলিও তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম মাইলফলক।
(আরও পড়ুন: 'সুপারফ্লপ' আমির! বয়কট বিতর্কে জেরবার ‘লাল সিং চড্ডা’র কালেকশন ষষ্ঠ দিনে ৭৫% কমল)
১১ অগস্ট মুক্তি পেয়েছে আমিরের 'লাল সিং চাড্ডা'। মুক্তির আগে থেকেই এই ছবিকে ঘিরে বিতর্কের শেষ ছিল না। আমির এবং করিনার অতীতের কিছু মন্তব্য নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। 'লাল সিং চাড্ডা'কে বয়কট করে দেওয়ার ডাক ওঠে। বক্স অফিসেও মুখ থুবড়ে পড়েছে।
বিটি।