এই প্রজন্মের নায়িকাদের মধ্যে একদম প্রথম সারিতে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। কখনও তিনি মস্তানি,আবার কখনও তিনি রানি পদ্মাবতী। একদিকে যেমন লাজার দ্যান লাইফ চরিত্রে দীপিকা চমকে দেন তেমনই আবার পিকু কিংবা ছাপাকের মালতি হিসাবেও সমান সাবলীল দীপিকা । এটাই নায়িকার ভার্সাটাইল অভিনয় কেরিয়ারের সেরা প্রাপ্তি বলা যেতে পারে। ২০০৭ সালে ওম শান্তি ওমের লম্বা,ফর্সা,ছিপছিপে চেহারার মেয়েটা এখন নিঃসন্দেহে বলিউডের মুকুটহীন রানি। এবার দীপিকার প্রশংসায় বলিউডের ধকধক গার্ল মাধুরী দীক্ষিত।
বি-টাউনের অন্যতম আইকোনিক নায়িকা মাধুরী। যে কোনও চরিত্রের ভিতরে অত্যন্ত সহজে ঢুকে যাওয়ার জাদুমন্ত্রটা জানা আছে মাধুরীর। দর্শকদের মন কীভাবে জিততে হয় তাও ভালোই জানা আছে তাঁর। তাই তো প্রায় তিন দশক ধরে আসমুদ্রহিমাচলের মনে কায়েম রয়েছে মাধুরীর রাজত্ব।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে অনুরাগীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মাধুরী আজকের প্রজন্মের প্রিয় নায়িকা হিসাবে বেছে নেন দীপিকাকে। কেন দীপিকাকে পছন্দ মাধুরীর? দেবদাসের চন্দ্রমুখীর অকপট জবাব,'আমার মনে হয় লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্রে খুব মানায় দীপিকাকে। যে কোনও চরিত্রের ভিতরে ও খুব সহজভাবে ঢুকে পড়ে'।
মাধুরীর কাছ থেকে এই প্রজন্মের প্রিয় অভিনেত্রী হিসাবে দীপিকার নাম শোনবার পর থেকেই খুশির জোয়ারে ভাসছে নায়িকার ভক্তরা। মাধুরী ম্যামের কাছে এই প্রশংসা বাণী কোনও পুরস্কারের চেয়ে কম বড় প্রাপ্তি নয়।

এখনও পর্যন্ত কোনও ছবিতেই একসঙ্গে স্ক্রিন স্পেস শেয়ার করা হয়নি এই দুই নায়িকার। তবে রণবীর-দীপিকা অভিনীত ইয়ে জবানি হ্যায় দিওয়ানিতে একটি গানের স্পেশ্যাল অ্যাপিয়ারেন্সে দেখা গিয়েছিল মাধুরীকে। কিন্তু দীপিকার সঙ্গে কোনও সম্পর্কই ছিল না ঘাঘরা গানের। তাই এই দুই সুন্দরীকে পর্দায় দেখতে আরও খানিকটা ধৈর্য ধরতে হবে দর্শকদের।
বক্স অফিসে দীপিকার শেষ ছবি ছিল ছপাক। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর পরবর্তী ছবি ৮৩। এই ছবিতে চার নম্বরবার রণবীর সিংয়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে নেবেন দীপিকা। ছবিতে কপিল দেব পত্নী রোমি দেবের চরিত্রে অভিনয় করছেন দীপিকা। পরিচালক কবীর সিংয়ের এই ছবির প্রেক্ষাপট ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের সোনালি ইতিহাস। ছবির যৌথ প্রযোজকের ভূমিকাতেও রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন।