'উনহোনে মেরি সুরত বদলা হ্যায়,মেরা মন নেহি', ছপাকের ট্রেলারে এই আত্মবিশ্বাসের সুরই ধ্বনিত হল মালতির কন্ঠে। মঙ্গলবার বিশ্ব মানবাধিকার দিসবে প্রকাশ্যে এল দীপিকা পাড়ুকোনের বহুপ্রতীক্ষিত ছবি ছপাকের ট্রেলার। পরিচালক মেঘনা গুলজারের এই ছবিতে উঠে আসবে অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগারওয়ালের জীবনের এক অভাবনীয় লড়াইয়ের গল্প। ছবিতে মালতির চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর সিং ঘরনি।
এই ছবির সঙ্গেই প্রযোজক হিসাবে পথচলা শুরু করলেন দীপিকা। ছবিতে দীপিকার পাশাপাশি মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বিক্রান্ত মাসি। মেঘনা গুলজার এক্কেবারে নিজের স্টাইলে লক্ষ্মীর লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরেছেন এই ছবিতে,তা ট্রেলারেই স্পষ্ট। পর্দায় হিংসা দেখানোর বিরোধী এই পরিচালক, তাই অ্যাসিড আক্রমণের ঘটনা দিয়ে ট্রেলার শুরু হলেও দর্শক কেবলমাত্র দীপিকাকে মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থাতেই দেখতে পাবে। ছপাকের ট্রেলার নিঃসন্দেহে দর্শককে শিহরিত করবে, ভাবতে বাধ্য করবে।
অ্যাসিড ঢেলে মালতির মুখ পুড়িয়ে দিলেও তাঁর মনটা কেউ পুড়িয়ে দিতে পারে নি। তাই অ্যাসিড আক্রান্ত মালতি লড়াই করতে জানে-নিজের শারীরিক পরিস্থিতির সঙ্গে, সমাজের সঙ্গে। সে রুখে দাঁড়াতে জানে, সে ঘুরে দাঁড়াতে জানে।
‘ছপাকে দীপিকাকে দর্শক নতুন করে আবিষ্কার করবে। দীপিকার একটা না-দেখা দিক দেখবে। আর না-দেখা দিক মানে এটা নয় যে ওর লুক বা প্রস্থেটিক মেকআপ। ও যেভাবে লক্ষ্মীর চরিত্রটা আত্মস্থ করেছে সেটা অভাবনীয়- ওই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, ওই রকম অঙ্গভঙ্গি সত্যিই দুর্দান্ত’, সদ্য সমাপ্ত ইফিতে পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন পরিচালক মেঘনা গুলজার।
দীপিকাও জানিয়েছেন ছপাক তাঁর কেরিয়ারে সবচেয়ে কঠিন ছবি। 'এটা আমার কেরিারের সবচেয়ে কঠিন ছবি, তার কারণ এটা নয় যে মালতির চরিত্রটা খুব শক্ত। তার কারণ প্রস্থেটিক মেকআপ। আমি এমনতি খুব ধৈর্য্যশীল মানুষ। তবে একটানা ৪২ দিন আমাকে ওই মেকআপটার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, সে বেশ কঠিন ছিল', জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
গত বছর রণবীর সিংয়ের সঙ্গে বিয়ের পর ছপাকই হতে চলেছে দীপিকার প্রথম ছবি। ২০২০-র ১০ জানুয়ারি মু্ক্তি পাবে 'ছপাক'।