অস্কারের মঞ্চে 'নাটু নাটু'। এটা সকল ভারতীয়র কাছে একই সঙ্গে গর্বের এবং আবেগের। এদিন পুরস্কার ঘোষণার সময় আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না দীপিকা পাডুকোনও। 'নাটু নাটু'র জন্য তখন পুরস্কার নিতে অস্কার অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে উঠেছিলেন সঙ্গীত পরিচালক ও গীতিকার। বক্তব্য রাখার সময় সঙ্গীত পরিচালক এম এম কিরাবানি বলেন, ‘ধন্যবাদ অ্যাকাডেমি। ছোট থেকে কার্পেন্টার্সের (মার্কিন গানের ব্যান্ড) গান শুনে বড় হয়েছি, আর এখন অস্কার হাতে দাঁড়িয়ে’। এদিন সেরা অরিজিনাল গান হিসাবে অস্কার জিতে নিয়েছে চন্দ্রবোস ও কিরাবানির তৈরি 'নাটু নাটু'।
এখানেই শেষ নয়, এদিন অস্কারের মঞ্চে দাঁড়িয়েই নিজের কথা ও মনের ইচ্ছার উপর সুর বসিয়ে গান গেয়ে ওঠেন কিরবানি। গানের মাধ্যমে বললেন, ‘মনে একটাই ইচ্ছা ছিল। রাজামৌলির এবং আমার পরিবারেরও একই ইচ্ছে ছিল। আরআরআরকে জিততে হবে, প্রত্যেক ভারতীয়র গর্ব। এবং আমাকে অবশ্যই বিশ্বের শীর্ষে রাখতে হবে।’। কিরাবানি যখন 'নাটু নাটু'র সাফল্যের গান গাইছেন, তখন দর্শকাসনে বসা দীপিকা পাড়ুকোনের চোখে ছিল জল। এদিন অবশ্য শুধু সঙ্গীত পরিচালক এমএম কিরাবানি নন, তাঁর পাশে ছিলেন গীতিকার চন্দ্রবোস, তিনিও অস্কার অ্যাওয়ার্ড হাতে তুলে নেন। 'নাটু নাটু' গানটির কথা যে তাঁর হাতেই তৈরি। তিনি অবশ্য চুপচাপই ছিলেন।
এদিন অস্কারের মঞ্চে RRR-এর নাম উচ্চারণ হতেই, দর্শকাসনে উপস্থিত ছবির গোটা টিমের উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ছবির কলাকুশলীরা।
'নাটু নাটু' গানটি ৯৫ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে সেরা অরিজিনাল গান হিসাবে পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এটি শুধু ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসেই নয়, গোটা এশিয়ার ছবির দুনিয়াতে ইতিহাস তৈরি করল। এর আগে ২০০৯ সালে এই একই বিভাগে অস্কার জিতেছিল ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’-এর 'জয় হে' গানটি। সেই হিসেবে যা ‘সেরা মৌলিক গান’ বিভাগে দ্বিতীয় ভারতীয় গান হিসাবে এটি অস্কার জিতে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজামৌলি পরিচালিত RRR ছবিটি গোটা বিশ্বের দরবারেই সমাদৃত হয়েছে। প্রথম থেকেই চর্চায় উঠে এসেছিল ছবির 'নাটু নাটু' গান। এর আগে 'গোল্ডেন গ্লোব'-এ সেরা গানের পুরস্কার জিতেছে এই গান।