DELHI : বরাবরই নিজের শারীরিক, মানসিক এবং আবেগের বিষয়ে বিশ্বাসী অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। তিনি বিশ্বাস করেন যে নিজেকে যত্ন এবং ভালোবাসার মাধ্যমে নিজেকে আরও অনেকটা ভালো রাখা যায়।
প্রতি বছর ২৪ জুন থেকে ২৪শে জুলাই পর্যন্ত সময়টিকে নিজের যত্ন বা স্ব-যত্নের মাস হিসাবে পালন করা হয়। এই মাসটি স্ব-যত্নের জীবনের সাধারণ কাজগুলি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে চিহ্নিত করা হয়েছে যা আমাদের আরও নিজের মনকে আরও হাসিখুশি ও আনন্দময় করে তোলে। মানসিক স্বাস্থ্য সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায়শই মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অবস্থাগুলি নিষিদ্ধ হিসাবে বিবেচিত হয় যা অসুবিধা সৃষ্টি করে এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতেও দেরি হয়। দীপিকা পাড়ুকোন কয়েক বছর আগে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অবস্থার বিষয়ে খুব সোচ্চার হন। তিনি স্ব-যত্ন এবং স্ব-প্রেমের পক্ষে ছিলেন সবসময়।
আরও পড়ুন: (শ্যুটিং চলাকালীন পড়ে গিয়ে হাড় ভাঙলেন উর্বশী! ভর্তি হাসপাতালে, এখন কেমন আছেন?)
বুধবার দীপিকা তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি স্বচ্ছ, নির্মল জায়গার ছবি শেয়ার করেন। এই ছবির মাধ্যমে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানোর প্রয়োজনীয়তা। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'এটি স্ব-যত্নের মাস! তবে কেন 'স্ব-যত্নের মাস' উদযাপন করবেন যখন আপনি প্রতিদিন স্ব-যত্নের মাধ্যমে সাধারণ কাজগুলি অনুশীলন করতে পারেন? আমি জানি আপনারা অনেকেই প্রায়ই আমার ফিডের দিকে তাকান। চলুক এখানে আমরা আবার যাই! আকাশের আরেক ছবি... ফুল... কিংবা সমুদ্র! তবে সত্যটি হ'ল, আমি বাইরে এবং প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানো সত্যই সুন্দর এবং থেরাপিউটিক বলে মনে করি। তবে, আমাদের বেশিরভাগের জন্য, সেই স্থানগুলি সন্ধান করা সুবিধাজনক নাও হতে পারে। কিংবা অস্তিত্ব নাও থাকতে পারে! আর এ কারণেই যখনই সুযোগ পাই, সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করি। এখানেই আমি শুধু বেঁচে থাকি না, আমি বেড়ে উঠি!'
দীপিকা পাড়ুকোন নিজের এবং তার চিন্তাভাবনার সাথে সময় কাটাতে বিশ্বাসী দীপিকা
দীপিকা আরও বলেন, ‘যখনই এটি সম্ভব হয় না, আমি যা বিশ্বাস করি তার পরবর্তী সেরা জিনিসটিকে অবলম্বন করি। কয়েক মুহূর্ত সময় নিয়ে সরে আসি। এগুলি এমন একটি জায়গা যেখানে আমি আমার বেশিরভাগ সময় ব্যয় করি, তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা মনে হয়। এটা আমার বাবা আমাকে শিখিয়েছেন। নিজেকে সরিয়ে নিয়ে এইভাবে সময় কাটানো, আমাকে বিরতি নিতে, শ্বাস নিতে এবং নিজের চিন্তা ভাবনাকে পুনরায় সারিবদ্ধ করতে সাহায্য করে।’
দীপিকা কিছুদিন আগে আরও একটি স্ব-যত্ন সম্পর্কিত পোস্ট শেয়ার করেছিলেন. যেখানে তিনি ওয়ার্কআউটের গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেছিলেন। শরীর চাপা কালো পোশাকে বেবি বাম্প নিয়েই পা উপরে তুলে 'বিপরিতা করণী' মুদ্রা করতে দেখা যাচ্ছে দীপিকাকে। ক্যাপশনে লেখা- ‘যদি রোজ নিজের যত্ন নেন, তাহলে আলাদা করে সেলফ কেয়ার মাস উদযাপন করার দরকার পড়ে না। আমি ওয়ার্কআউট করতে ভালোবাসি। নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য কিন্তু আমি শরীরচর্চা করি না, বরং ফিট থাকতেই ব্যায়াম করি। দীর্ঘদিন ধরেই শরীরচর্চা আমার লাইফস্টাইলের অন্যতম একটা অংশ…’।
এর সঙ্গে যোগব্যায়ামের নির্দিষ্ট পদ্ধতিটির কথাও শেয়ার করেছেন রণবীর ঘরণী। সঙ্গে এই মুদ্রার উপকারিতার কথাও লেখেন দীপিকা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই মুদ্রা করতে গেলে অবশ্যই একটা কুসানের সাপোর্ট নেওয়া দরকার বলে জানান দীপিকা। এই মুদ্রা পায়ের ফোলা, যন্ত্রণা কমায়, পেশির যন্ত্রণায় উপকারী, পা, কোমর কিংবা শরীরের নীচের অংশের ব্যাথায় খুব উপকারী।
২০১৫ সালে দীপিকা জানিয়েছিলেন কীভাবে তিনি অবসাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ২০১৫ সালে, তিনি লাইভলাভলাফও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এটি এমন একটি সংস্থা যার লক্ষ্য চাপ, উদ্বেগ এবং হতাশায় ভুগছেন তাদের সহায়তা করা।