২০১৩ সালের ৩ জুন মাত্র ২৫ বছর বয়সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খান। জিয়ার মৃত্যুর পর সহকর্মীর শেষ যাত্রায় হাজির ছিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। সেদিন সাদা কুর্তী পরে হাজির হয়েছিলেন নায়িকা। সম্প্রতি সেই কুর্তি নিলামে তুলে দেন দীপিকা। যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক।
৮ বছর পর সেই কুর্তিই নিলামে দিয়ে দিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। এমনকি অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বাবার শেষযাত্রায় যে পোশাক পরে গিয়েছিলেন দীপিকা সেই পোশাকও নিলামে দিয়ে দেন নায়িকা। অলাভজনক সংস্থা লিভ লাভ লাফ-এর পাশে দাঁড়াতেই অভিনেত্রীর এই বিশেষ উদ্যোগ বলে জানা যায়। প্রায়শই নিজের পোশাক দীপিকা নিলামে দেন। যে পয়সা পান তা পুরোটাই সংস্থাকে তিনি দান করেন।
প্রসঙ্গত, দুটো কুর্তি বিক্রি হয়েছে। যদিও অভিনেত্রীর এই সিদ্ধান্ত খারাপ লেগেছে নেটিজেনদের। নেটিজেনদের রোষের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। দীপিকা বিশেষ ওই দুই কুর্তি কী করে বিক্রি করে দিতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক নেটিজেন। যদিও দীপিকা এ বিষয় এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য, বলিউডে সেই সময় নবাগতা ছিলেন জিয়া খান। এমনকি সুরজ পাঞ্চলির সঙ্গে জিয়ার প্রেমের গল্প ঘুরে বেড়াচ্ছে বলিউডে অলিতে-গলিতে। তখনও নিজের অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেননি সূরজ। এদিকে তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে রাজি ছিলেন না জিয়ার মা, রাবিয়া খান।
সেই বছরই ৭ জুন জিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ৬ পাতার সুইসাইড নোট। নিজের লিভ ইন পার্টনার তথা প্রেমিক সূরজের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল না তুললেও জিয়া এমন কিছু ঘটনা লিখেছিলেন যা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। দীর্ঘ সুইসাইড নোটে পরিচালক আদিত্য পাঞ্চোলীর ছেলে সুরজ পাঞ্চোলীর উপর নানা অভিযোগ ছিল। মামলায় ১০ জুন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সূরজ। পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি।