পাঠান সিনেমায় দীপিকার ‘উত্তেজক’ পোশাক নিয়ে চারিদিকে হৈচৈ। ‘সমাজে খারাপ প্রভাব পড়বে’ দাবি তুলে উঠেছে সিনেমা বয়কটের ডাক। এবার খবর মিলল পাঠানের বেশরম রং গানে সোনালি বিকিনিতে যে সাইড পোজ ছিল তা বাদ গিয়েছে। তবে গেরুয়া বিকিনি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত এসেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শাহরুখ খান এবং দীপিকা অভিনীত পাঠান-এর প্রথম গান ‘বেশরম রং’ প্রকাশ্যে আসার পরই বড় বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র এবং রাজ্য বিধানসভার স্পিকার গিরিশ গৌতম সহ বেশ কিছু রাজনীতিবিদ, গানটিতে দীপিকা পাড়ুকোনের ‘গেরুয়া’ বিকিনি এবং শাহরুখ খানের ‘সবুজ’ শার্টের বিরোধিতা করেছেন। এবং তা ‘সংশোধন’ করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুসারে, দীপিকার ‘সাইড পোজ (আংশিক নগ্নতা)’ ছাড়াও ‘বাহুত তং কিয়া’র সময় অভিনেত্রীর নিতম্বের ক্লোজ আপ শট এবং সংবেদনশীল নৃত্যের ভিজ্যুয়ালগুলি সরানো হয়েছে বা ছেটে ফেলা হয়েছে এবং ‘উপযুক্ত শট’ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। তবে, এটা স্পষ্ট নয় যে কমলা বিকিনির শটগুলি, যা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, তা রাখা হয়েছে কি না গানটিতে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)-এর আগে শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত 'পাঠান'-এ বেশ কয়েকটি পরিবর্তন পরামর্শ দিয়েছিল। মিডিয়াতে পাঠানো একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতেতে সিবিএফসি চেয়ারপার্সন প্রসূন যোশি বলেছিলেন, ‘পাঠান সিবিএফসি নির্দেশিকা অনুসারে যথাযথ এবং পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। কমিটি গান-সহ চলচ্চিত্রে কতগুলো পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে এবং প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই সংশোধিত সংস্করণ জমা দিতে হবে নির্মাতাদের। CBFC সর্বদা সৃজনশীল অভিব্যক্তি এবং দর্শকদের সংবেদনশীলতার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য খুঁজে পেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিশ্বাস করে যে, আমরা সবসময় সকল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে অর্থপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে পেতে পারি।’ আরও পড়ুন: ‘পাঠান’-এর পোস্টার ছিঁড়ে বিক্ষোভ বজর দল-বিশ্ব হিন্দু পরিষদের, ভাইরাল ভিডিয়ো
সিবিএফসি-র তরফে আরও জানানো হয়, ‘যতদূর পোশাকের রং সম্পর্কিত বিষয়, কমিটি নিরপেক্ষ রয়ে গেছে। যখন ছবিটি আসবে তখন এই ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি সকলের কাছে পরিষ্কার প্রতিফলন হবে।’
এদিকে গুজরটের আহমেদাবাদের এক মলে থাকা পাঠান-এর পোস্টার ভাঙচুর চালাল বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কর্মীরা ঢুকে পড়ে আহমেদাবাদের বস্ত্রাপুর এলাকায় অবস্থিত একটি মলে। সেখানে থাকা মাল্টিপ্লেক্সে পাঠান-এর পোস্টার ও হোর্ডিং উপড়ে ফেলে।বিক্ষোভকারীরা ক্রমাগত জয় শ্রী রাম স্লোগান দিচ্ছিল। এক বিক্ষোভকারীর হাতে একটি গদাও দেখা যায়।