জেএনইউ ক্যাম্পাসে প্রতিবাদরত পড়ুয়াদের সভায় দীপিকা পাড়ুকোনের উপস্থিতি ঘিরে দিন কয়েক ধরেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। এর মাঝেই মোদি সরকারের বিকাশ মন্ত্রক অভিনেত্রীর একটি প্রচারমূলক ভিডিও মুক্তি দেওয়ার আগেই বাদ দিল। এমনটাই খবর দ্য প্রিন্ট সূত্রে।
সরকারের স্কিল ইন্ডিয়া প্রকল্প ও টিম ছপাকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের একটি ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে কিছু অ্যাসিড আক্রান্ত এবং বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের সঙ্গে দীপিকা সমাজে সকলের সমান অধিকারের বার্তা দিয়েছিলেন। মূলত জনসচেনতা বাড়াতেই এই ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল।
‘বুধবারই স্কিল ইন্ডিয়ার এই প্রচারমূলক ভিডিও মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল,যার প্রধান মুখ ছিলেন দীপিকা। শ্রম শক্তি ভবনের দফতরেও পৌঁছে গিয়েছিল এই ভিডিও। তবে মঙ্গলবারের ঘটনার পর আচমকাই সেটি বাদ দেওয়া হয়’, জানিয়েছেন মন্ত্রকের একজন সিনিয়র আধিকারিক।
যদিও এইধরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিকাশ মন্ত্রক।আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, 'জ্ঞাপনের মাধ্যম হিসাবে এবং প্রচারমূলক কাজের জন্য স্কিল ইন্ডিয়া টিমের কাছে হামেশাই বিভিন্ন মিডিয়া হাউস এবং সংগঠনের কাছ থেকে একে অপরকে প্রমোট করার আইডিয়া দেওয়া হয়ে থাকে। (ছপাক) প্রযোজক সংস্থার তরফে স্কিল ইন্ডিয়ার কাছে এই ধরণের একটি ভিডিও তৈরির জন্য আবেদন এসেছিল। সেই সূত্রেই আমাদের স্কিল ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতাভুক্ত বেশ কিছু অ্যাসিড আক্রান্ত এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের সঙ্গে দেখা করেন ছবির কলাকুশলীরা। কিন্তু কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয় নি। মন্ত্রক(বিকাশ) এই ধরণের কোনও প্রচারমূলক কাজের নির্দেশ দেয় না,এগুলো সম্পূর্নরূপে ন্যাশান্যাল স্কিল ডেভলপমেন্ট অথোরিটির বিষয়,তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত’।
গত বছর অক্টোবর মাসেই দীপিকা পাড়ুকোন ও পিভি সিন্ধুকে ‘ভারত কি লক্ষ্মী’ সম্মান দিয়ে নরেন্দ্র মোদির 'ভারত কি লক্ষ্মী' আন্দোলনের অ্যাম্বাসাডর ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিয়েছিলেন দীপিকা।
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কি তবে দীপিকার প্রতি মনোভাব পাল্টে গেল মোদি সরকারের? নেটিজেনরা অবশ্যই গোটা বিষয়টাকে জুড়েছেন দীপিকা জেএনইউ ক্যাম্পাসে উপস্থিতির সঙ্গে। যে ঘটনার পর গেরুয়া শিবিরের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে নায়িকাকে। তাঁকে 'টুকরে টুকরে গ্যাং' এর সদস্য, দেশদ্রোহী বলে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি ও তাঁর সমর্থকরা।