দীপিকা পাড়ুকোনের ‘গেহরাইয়া’ অনেকে পছন্দ করেছেন, অনেকে আবার একদম হতাশ হয়েছেন। কিন্তু একথা অস্বীকার করবার জায়গা নেই এই ছবি দর্শকদের নজর কাড়তে পুরোপুরি সফল। মেয়ের বলিউড কেরিয়ার নিয়ে বরাবরই গর্বিত দীপিকার পরিবার। তবে তাঁরাই আবার নায়িকার সবচেয়ে বড় সমালোচক। কাজ নিয়ে নিরপেক্ষ মতামত দিতে পিছপা হন না তাঁরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে দীপিকা জানিয়েছেন, গেহরাইয়া'তে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি এক্কেবারেই 'হজম করতে পারেনি পরিবার'।
পরিচালক শকুন বাত্রার এই ছবিতে মুম্বইনিবাসী আলিশার চরিত্রে দেখা গিয়েছেন দীপিকাকে। বয়ফ্রেন্ডকে ঠগিয়ে তুতো বোনের হবু বরের সঙ্গে নিষিদ্ধ প্রেমের সম্পর্কে জড়াবে আলিশা। আর এই সম্পর্ক কীভাবে তছনছ করে দেবে তাঁর জীবন, তাই ধাপে ধাপে উঠে এসেছে ছবিতে। অতীতেও আলিশাকে বড় ধাক্কার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এর জেরেই অ্যানসাইটি ডিসওর্ডারের শিকার সে।
এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে দীপিকা জানান, এই ছবি নিয়ে তাঁর পরিবারের প্রতিক্রিয়া। রণবীর ঘরণী বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যক্তিগত স্তরে এই ছবিটা একটু বেশি কঠিন ছিল ওদের জন্য হজম করা। বিশেষত আমার চরিত্রটাকে ঠিক যে যে ঘটনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। কারণ ওরা আমাকে খুব কাছ থেকে প্রায় একইরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে দেখেছে’। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বরাবরই সোচ্চার দীপিকা। দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক অবসাদের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন দীপিকা। ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠে ২০১৫ সালে একটি ফাউন্ডেশন স্থাপন করেন অভিনেত্রী, নাম লিভ লাভ লাফ (Live Love Laugh)। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এই সংগঠন।
দীপিকা যোগ করেন, ‘এটাও বলব যে আমার পারফরম্যান্সের কিন্তু সত্যি ওরা তারিফ করেছে, যেভাবে মানসিক অসুস্থতা এবং মানিসক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে- সেটা বড় পাওনা এই ছবির’।
১১ই ফেব্রুয়ারি আমাজন প্রাইম ভিডিয়োতে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। দীপিকা ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী. অনন্যা পাণ্ডে এবং ধৈর্য্য কারওয়া