MUMBAI : হোয়াটসঅ্যাপে মাদক সংক্রান্ত চ্যাট গ্রুপের অন্যতম অ্যাডমিন ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। এনসিবি-র রিপোর্টে এমনই চমকে দেওয়া দাবি করা হয়েছে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া ড্রাগ তদন্ত প্রতি সপ্তাহে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে । বর্তমানে এই মামলাকে হাতিয়ার করেই বলিউডের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে থাকা মাদক চক্রের যোগসাজশকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে কোমর বেঁধে নেমেছেন এন সি বি আধিকারিকেরা । তদন্তে নামা ইস্তক তাঁদের হাতে যে ভাবে একের পর এক প্রথম সারির বলি তারকার নাম উঠে এসেছে , তাতে তাঁদের চোখ কপালে উঠেছে ।
সাম্প্রতিক টাইমস নাও রিপোর্ট অনুসারে, এন সি বি সূত্রে জানা গিয়েছে যে হোয়াটস্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে শনিবার অভিনেত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছে এনসিবি, সেই গ্রুপের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিজেই ছিলেন দীপিকা । গ্রুপের অপর অ্যাডমিন ছিলেন ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা , আজ এনসিবি-র জিজ্ঞাসাবাদের সামনে নিজেই স্বীকার করে জানিয়েছেন এ কথা তিনি ।
ইতিমধ্যেই নার্কোটিকসের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে সারা আলি খান , রাকুল প্রীত সিং , সিমন খাম্বট্টাকে । বৃহস্পতিবারই এনসিবির কাছে হাজিরা দেন সিমন । নাম জড়িয়েছে শ্রদ্ধা কাপুরেরও , যা আরো বড় চক্রের সন্ধান দিতে পারে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা । এছাড়া KWAN ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিতে কর্মরত করিশমা প্রকাশকেও এই সপ্তাহে তলব করা হয়েছিল। সংস্থার সিইও ধ্রুব চিতগোপেকার এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক মধু মন্টেনাকেও জেরার জন্য ডেকে পাঠায় নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো ।
গত ১৪ই জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় । ইতিমধ্যেই ইডি এবং সিবিআই এই কেসের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে । ইডির তরফে মামলার সাথে মাদক চক্রের যোগসাজশ খুঁজে পাওয়ার দরুন আসরে নেমেছে অপর কেন্দ্রীয় সংস্থা নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো । ইতিমধ্যেই তাদের হাতে গ্রেফতার হয়ে আদালতের নির্দেশে আপাতত জেল হেফাজতে মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই সৌভিক । তাঁদের জেরা করেই চক্রের সাথে যুক্ত বলিউডের একাধিক বড় মাথার সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা।