কয়েক মাস ধরে চলা প্রাক-বিবাহ উৎসবের পরে, অবশেষে সাতপাক ঘুরে, মালবদল করে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসাবে গ্রহণ করলেন অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্ট। এই দম্পতি মুম্বইতে শুক্রবার ১২ জুলাই বাঁধা পড়লেন। বলিউড থেকে ক্রিকেট তারকা, বড় বড় ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ, হলিউড তারকাদের নিয়ে শুক্রবার বিকেলের পর থেকেই জমে উঠেছিল আসর। অপরূপ সব লুক নিয়ে হাজির ছিলেন সকলে। এর মধ্যেই নজর কেড়েছেন মম টু বি দীপিকা আর রাহার মা আলিয়া ভাট। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের লুক ভাইরাল হয়েছে সবচেয়ে বেশি। কী পড়েছিলেন তাঁরা?
সোনা-রুপোর শাড়িতে আলিয়া
আম্বানিদের বিয়ের সন্ধ্যায় আলিয়া ভাট বেছে নিয়েছিলেন একটি চমৎকার সিল্ক শাড়ি। মনীশ মলহোত্রার আর্কাইভাল উইভ কালেকশন থেকে এই শাড়িটি বেছে নেন তিনি। গাঢ় গোলাপি রঙের এই পিওর সিল্ক শাড়িতে ছিল খাঁটি রুপোর কারুকার্য। গোটা শাড়িতে সাবেকী ভাব ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার হয়েছিল ৬ গ্রাম সোনা। ডিজাইনারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আলিয়ার এই শাড়িটি প্রায় ১৬০ বছরের পুরনো, এটি গুজরাতের ট্র্যাডিশনাল অশাবলী শাড়ি।
আরও পড়ুন: (সিন্দুরি লাল সোনার লেহেঙ্গায় বিদায়ের সাজে রাধিকা, কেমন ছিল সেই লুক)
আলিয়ার শাড়ির রূপালী ঝলক সকলের নজর কাড়ে। তবে তাঁর ব্লাউজটি লাইমলাইট কেড়ে নেয়। তিনি একটি বাস্টিয়ার ব্লাউজে নিজেকে সাজিয়ে তুলেছিলেন, যা আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্য়কে ফুটিয়ে তোলে।সঙ্গে ছিল মানানসই গয়না ও মেকআপ। আলিয়া পড়েছিলেন পান্না-সোনার হার, মাং টিকা এবং ঝুমকো দুল।অপরদিকে মেকআপে বেছে নিয়েছিলেন সফট সাটল মেকআপ এবং স্লিক বান।
আনারকলি কুর্তায় দীপিকা
রাধিকা-অনন্তের বিয়েতে একটি সিঁদুরে লাল রঙের আনারকলি কুর্তা পরেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। ডিজাইনার করণ তোরানির কালেকশন থেকে এই কাস্টোমাইজড পোশাকটি বেছে নেন তিনি। দীপিকার কুর্তায় ছিল ভারী কারুকার্য। পোশাকটিতে ছিল একটি কুর্তা এবং ট্রাউজার। এটির সঙ্গে সুন্দর একটি দোপাট্টাও স্টাইল করেছিলেন দীপিকা। গর্জস মেকাপে সেজেছিলেন তিনি। ছিল কাজল টানা চোখ এবং গ্ল্যাম মেকআপ।সিঁথিতে লাল সিঁদুর। মোহময়ি লুক টক লাগালেন সকলকে।
আরও পড়ুন: (সাত পাকে বাঁধা পড়লেন অনন্ত-রাধিকা, মমতা থেকে লালু, কোন কোন রাজনীতিক হাজির হলেন)
শিখ সাম্রাজ্যের আমলের গয়না
দীপিকার পোশাকের থেকেও বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করল তাঁর গয়না। 'চাঁদ বেগম জুয়েলস'-এর অপূর্ব একটি চোকার নেকলেস পড়েন দীপিকা পাড়ুকোন। আর সেটিই তাঁর সাজের মূল আকর্ষণ। এই ব্র্যান্ডের তথ্য অনুযায়ী, নেকপিসে ছিল শিখ ঐতিহ্যের ছোঁয়া।
শিখ সাম্রাজ্যের মহারাজা রনজিৎ সিংয়ের পরিবারের সঙ্গে এই নেকলেসের এক যোগসূত্র রয়েছে। হারের মাঝখানে বসানো একটি বড় রুবি পাথর এবং চারঘারে সাফায়ারের কারুকার্য এটির সৌন্দর্যকে বহু গুণে বাড়িয়েছিল।