সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) এবং এর চেয়ারপার্সন প্রসূন জোশীর পক্ষ থেকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘গেরুয়া বিকিনি দৃশ্য’ সিনেমায় রাখার অনুমতি দিয়েছে। এটি যেমন সিনেমার নির্মাতাদের জন্য একটা ভালো খবর, তেমনই অনেকেই মনে করছেন যশরাজ ফিল্মসের পক্ষ থেকেই হয়তো ‘বেশরম রং’ গান থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে ওই দৃশ্য, যাতে পরবর্তীতে আর কোনও বিতর্ক না হয়। এমনকী, সিনেমার সঙ্গে জড়িত বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিই মনে করছেন গানের থেকে ওই দৃশ্য বাদ দেওয়াই মঙ্গলের।
একজন এপিক ফিল্মমেকার, যিনি এর আগে নিজের বানানো ম্যাগনাম অপাসের কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন, তিনি এই ব্যাপারে মন্তব্য করেন, ‘তারা ইতিমধ্যেই গানটিকে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগিয়েছে। সিনেমার প্লটের সঙ্গে এর কোনও অন্তর্নিহিত মূল্য নেই। কেন এটাকে সিনেমায় রেখে যারা এটাকে বের করতে চায় তাদের ক্রোধের কারণ হবে?’
বিহারের একজন শীর্ষস্থানীয় ফিল্ম এগজিবিটর সুমন সিনহা জানিয়েছেন যে গানটি সরানো না হলে বিহারের মানুষও পাঠান দেখবে না। ‘কেন তারা জনতার উপরে লাল পতাকা ওড়াতে চায়? বলা ভালো গেরুয়া পতাকা? এটা তো ইচ্ছে করে ঝামেলা পাকানো। এই নির্লজ্জতা অযাচিত।’
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুসারে, শাহরুখ ঘনিষ্ঠ একজনের দাবি ‘বেশরম রঙে থাকা গেরুয়া বিকিনির দৃশ্য আলোচনার অধীনে আছে।’
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলা এই সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পাবে ১০ জানুয়ারি। বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুসারে, দীপিকার সোনালি বিকিনির ‘সাইড পোজ (আংশিক নগ্নতা)’ ছাড়াও ‘বাহুত তং কিয়া’র সময় অভিনেত্রীর নিতম্বের ক্লোজ আপ শট এবং সংবেদনশীল নৃত্যের ভিজ্যুয়ালগুলি সরানো হয়েছে বা ছেটে ফেলা হয়েছে এবং ‘উপযুক্ত শট’ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কর্মীরা ঢুকে পড়ে আহমেদাবাদের বস্ত্রাপুর এলাকায় অবস্থিত একটি মলের মাল্টিপ্লেক্সে ভাঙচুর চালিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ক্রমাগত জয় শ্রী রাম স্লোগান দিচ্ছিল। এক বিক্ষোভকারীর হাতে একটি গদাও দেখা যায়।