আশির দশকের গোড়ার দিকে হিন্দি ছবির পরিচিত মুখ ছিলেন দীপ্তি নাভাল। শ্যাম বেনেগালের ‘জুনুন’ ছবির সঙ্গে অভিনয়ের জগতে পা রাখেন এই সুন্দরী। এরপর ‘সাথ সাথ’, ‘চমশে বদ্দুর’, ‘কিসি সে না ক্যাহনা’, ‘রঙ বিরাঙ্গি’-র মতো জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন দীপ্তি। এরপর আচমকাই রুপোলি পর্দা থেকে ‘গায়েব’ হয়ে যান তিনি। সম্প্রতি অভিনেত্রী ফাঁস করেছেন বিয়ের পর তাঁর কাছে অভিনয়ের অফার আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, এরপরই ডিপ্রেশনের শিকার হন তিনি। তবে হাল ছাড়েননি অভিনেত্রী। লড়ে গিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা ফিরে পেতে।
১৯৮৫ সালে ফিল্মমেকার প্রকাশ ঝা-এর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন দীপ্তি। যদিও সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, ডিভোর্স হয়ে যায় দুজনের। দীপ্তির কথায়, ‘বিয়ের পর কাজ পাওয়া বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। যেন বিয়ের পর আমি অভিনয় ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। এটা ঘটেছিল! আমাকে এই পর্বটা কাটাতে হয়েছে। বছরের পর বছর আমার হাতে কাজ ছিল না। আমি শুরুতে বুঝেই উঠতে পারিনি কী ঘটছিল। যদি শিল্পী হয়ে নিজের শিল্পসত্ত্বাকে কাজে না লাগাতে পারি, তাহলে আমি কী করব? এর জেরে অবসাদ আমাকে ঘিরে ধরেছিল’।
বলিউডের আমূল পরিবর্তন নিয়েও কথা বলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, কাস্টিং ডিরেক্টরদের আর্বিভাবের ফলে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আজকাল আর পরিচালকরা সেভাবে মাথা ঘামান না। পাশাপাশি দীপ্তি নাভালের কথায়, ‘কাস্টিং কাউচ’ নতুন ঘটনা নয়, অতীতেও বলিউডে রমরমিয়ে চলত এই প্রথা। স্বজনপোষণ বিতর্কও নতুন নয় বলে জানান তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে এই সব (নেগেটিভ) বিষয় উপস্থিত জেনেই তোমাকে নিজের জায়গা করে নিতে হবে। সেটা সম্ভব’।
আপতত মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে দীপ্তি নাভাল অভিনীত ‘গোল্ডফিশ’। ২৭ তম ভূষাণ ইন্টারন্যাশন্যাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এই ছবির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে।