দিল্লি মহিলা কমিশন (Delhi Commission for Women)-এর প্রধান স্বাতী মালিওয়াল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের কাছে একটি আবেদন করেছেন। যেখানে স্পষ্টভাষায় জানানো হয়েছে যাতে বিগ বসের ঘর থেকে পরিচালক সাজিদ খানকে বের করে দেওয়া হয়। সাজিদের উপরে রয়েছে যৌন হয়রানি এবং অনুপযুক্ত আচরণের অভিযোগ। ২০১৮ সালে মি টু মুভমেন্টের সময় একেধিক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। Indian Film and Television Directors’ Association (IFTDA) তাঁকে ১ বছরের জন্য সাসপেন্ডও করেছিল।
‘#MeToo আন্দোলনের সময় দশজন মহিলা সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। এসব অভিযোগ সাজিদের জঘন্য মানসিকতার পরিচয় দেয়। এখন, এই লোকটিকে বিগ বসে জায়গা দেওয়া হয়েছে, যা ভুল। সাজিদ খানকে এই শো থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমি @ianuragthakur (মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর)-কে লিখেছি’, সোমবার হিন্দিতে একটি টুইট বার্তায় জানান মালিওয়াল বলেছেন।
প্রসঙ্গত, বিগ বসের ১৬ নম্বর সিজনের প্রিমিয়ার থেকেই উঠছে বিতর্কের ঝড়। ইতিমধ্যেই সাজিদ খানকে নিয়ে নিজের বিরক্তি জাহির করে বলিউড ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন মন্দনা করিমি। সালোনি চোপড়া, আহানা কুমাররাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ক্ষোভের মুখে সলমনও, যৌন হেনস্থাকারীকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এখন তাঁর উপরে। অন্য দিকে, বিগ বসের ঘরে ঢোকার মুখে সাজিদ খানকে একটা বার্তা পাঠিয়েছিল শেহনাজ। আর তার পর থেকে তিনিও কম কথা শোনেননি।
বিগ বসের প্রাক্তনী দেবলীনা ভট্টাচার্য এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘জাতীয় টেলিভিশনে তাকে দেখে আমার মন ভেঙে গিয়েছে, তিনি একজন নায়ক প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন নিজেকে। ভাবতে খারাপ লাগে যে আমাদের সমাজ কোন দিকে যাচ্ছে!’
যদিও বিগ বসের ঘরে পৌঁছে মিটু নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করেননি সাজিদ, বরং সলমনকে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর 'ঔদ্ধত্য'-এর জেরেই নাকি তাঁর পতন ঘটেছে। হাউসফুল ৪ থেকে তাঁকে বার করে দেওয়া প্রসঙ্গে সলমনকে তিনি বলেন, ‘আগের রাত পর্যন্ত আমি ওই ছবিটা নিয়ে কাজ করছিলাম। সকালে আমি আর ওই প্রোজেক্টে নেই! ওই ছবির পিছনে আমার যে মেহনত সেটার কোনও ক্রেডিট আমাকে দেওয়া হয়নি’। এখন দেখার ইমেজ কতটা শুধরোতে পারেন সাজিদ।