সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল যে বিনোদন জগতে মহিলারা যে লিঙ্গ ভেদাভেদের বা যৌন হেনস্থার শিকার হয় সেটা নিয়ে যেন তদন্ত করার অর্ডার দেওয়া হয়। কিন্তু এদিন হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিল।
কী ঘটেছে?
আইনজীবী অজিশ কালাথি গোপী একটি পিটিশন ফাইল করেছিলেন। কিন্তু সেই পিটিশনের ভিত্তিতে এদিন শুনানিতে অ্যাকটিং চিফ জাস্টিস বিভূ বাকরু এবং বিচারপতি তুষার রাও বেঞ্চ জানিয়ে দেন কোনও অভিযোগ ছাড়া এমন কোনো তদন্ত করা যাবে না। যদিও এই পিটিশন করা হয়েছিল যাতে জাতীয় মহিলা কমিশনের নজর এদিকে ঘোরানো যায় এবং কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের মানবাধিকার খর্ব না করা হয় এবং যৌন হেনস্থার শিকার না হতে হয়।
এই পিটিশন খারিজ করে কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে কোনও তথ্য ছাড়া, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এমন কোনও মহিলা যিনি যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন তাঁর নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যাবে না। কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই যেটা নির্মূল করতে হবে। গোটা আবেদনটাই করা হয়েছে অনুমানের উপর ভিত্তি করে।
প্রসঙ্গত কিছু মাস আগেই হেমা কমিটির রিপোর্টে মালায়লাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটে, কোন হেনস্থার শিকার হতে হয় তাঁদের সেটার একটা বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল। সেই রিপোর্টে তথ্য প্রমাণ সহ নিগৃহীতাদের বিয়ান সহ সবই ছিল।
সেই রিপোর্টার উপর ভিত্তি করেই গোপী এই পিটিশন করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন এই সমস্যায় জাতীয় এবং আঞ্চলিক সমস্ত বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে আছে। তবে সেই আবেদন আপাতত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: মৃত্যু পাপিয়া সারোয়ারের! কর্কটের মারণ থাবায় নিভল বাংলাদেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীর জীবনদীপ