সম্প্রতি একটি পোস্ট দারুণ ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে লেখা রয়েছে যে ডেলিভারি বয়, কাজের লোকরা লিফট ব্যবহার করতে পারবেন না। আর সেই ছবি নিয়েই উসকে গিয়েছে বিতর্ক। পক্ষে, বিপক্ষে মত রাখছেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: কলকাতার পাবে আইটেম সংয়ে কাঁটায় কাঁটায় একে অন্যকে টক্কর দিলেন টোটা-শান্তনু! ব্যাপারটা কী?
আরও পড়ুন: পর্দায় যেন ভূতেদের ছড়াছড়ি! ৩ যুগের ৩ 'পেত্নী'কে নিয়ে আসছে 'ভূত্তেরিকি'
কী ঘটেছে?
যে ছবিটা ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি অ্যাপার্টমেন্টের লিফটের পাশে মোটা হরফে লাল কালি দিয়ে লেখা, 'বি দ্রঃ কাজের লোক, দুধওয়ালা এবং কাগজওয়ালা লিফট ব্যবহার করিতে পারিবে না।'
এই ছবিটি শেয়ার করে এক ব্যক্তি নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি তাঁর সেই পোস্টে লেখেন, 'মনে পড়ে যখন সুইগিতে ডেলিভারি করতাম, তখন কোনও হাইরাইজ অ্যাপার্টমেন্টে ডেলিভারি করতে গেলে সিকিউরিটি বলত সিঁড়ি দিয়ে যান, লিফট আপনাদের জন্য নয়। শেষ দিন যেদিন সুইগিতে ডেলিভারি করলাম সেদিন সাত তলায় অর্ডার ছিল। আমি ব্যাচ অর্ডারে ছিলাম অর্থাৎ একই রেস্টুরেন্টর খাবার কিন্তু দু জায়গায় ডেলিভারি। তাই আমার তাড়া থাকায় আমি কাস্টোমারকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম যে উনি অন্তত দুটো তলা নীচে নামলে আমার কিছুটা তাড়াতাড়ি হয়। তিনি আমাকে ফোনে সটান বলেছিলেন যে আপ লোগো কো ইসি লিয়ে পয়সা মিল রাহা হ্যায়, সেই সময় মারাত্মক জল তেষ্টা, সন্ধ্যে সাতটা থেকে মিনিমাম দশটা ডেলিভারির টার্গেট এসব মাথায় নিয়ে ওই প্রথম ওঁকে বলেছিলাম স্যার একটু মানবিকতাও তো দেখাতে পারতেন, তিনি আমাকে ওয়ান স্টার রেটিং দিয়েছিলেন। এবং ওই দিনই আমার সুইগিতে শেষ ডেলিভারি ছিল। নীচের লেখাটা দেখে অনেক কিছু মনে পড়ে গেল। এই এলিট শ্রেণী আসলেই কি মানুষ? এই অ্যাপার্টমেন্টে কেউ কি নেই এসবের প্রতিবাদ করার?'
আরও পড়ুন: 'সিনেমা হেরে গিয়েছে', হঠাৎ এমন কেন বললেন অনির্বাণ?
কে কী বলছেন?
অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে এই পোস্টে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'আমাদের আবাসনেও একই নিয়ম, আমার ফ্ল্যাট কমিটিকে বলা আছে আমার গৃহ সহায়িকা থেকে শুরু করে যত ডেলিভারি আসবে সবাই লিফ্ট ব্যবহার করবে, প্রয়োজনে আমি বেশি টাকা দিতেও আমি রাজি সেটাও জানিয়েছি! ডেলিভারি এলে তো আমি নিজেই ফোনে বলি লিফ্টে উঠে দুই টিপুন।' আরেকজন লেখেন, 'এর কিছু কারণ আছে, লিফ্ট ব্যবহার বিধি ঠিকভাবে জানা না থাকলে লিফ্ট খারাপভাবে সম্ভাবনা আশি শতাংশ।যেমন লিফ্ট ফ্লোরে আসার পর একটা শব্দ হওয়ার পর গেটটা ছাড়ে, অনেকেই শব্দ হওয়ার অপেক্ষা না করে গেট খোলার জন্য টান দেয়। তখন লিফ্টের মাদার বোর্ডে ভুল মেসেজ যায় এবং লিফ্ট বিকল হয়। এটা একটা বড় কারণ। এই কারণেই আবাসনের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষজন, বিপক্ষে রায় দেয়। কিছু মানুষের ইচ্ছা থাকলেও কিছু করার থাকে না।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'আমি নিজে এক অ্যাপার্টমেন্টে এইরকম ব্যবস্থা দেখেছি। জেনে ওই রেসিডেনসিয়াল বিল্ডিংয়ের লোকেদের প্রতি ঘৃণা অনুভব করেছিলাম।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'ডেলিভারি বয়দের কিছু মানুষ এতো ছোটো মানসিকতায় কেনো দেখেন বুঝতে পারি না।'