শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে চারহাত এক হয়েছে রাজা-মাম্পির। ঘরের মেয়েই বাড়ির বউমা হয়ে গৃহপ্রবেশ করেছে। তারপরেও হইচই কাণ্ড স্বরূপনগরের মুখার্জি পরিবারে। রাজাকে ঘিরে ধরে টাকা চাইছে নোয়া-কিয়ান-ডোডোরা। কিন্তু সেই দলে শামিল নয় নীল পাখি। একটা কোণায় মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে নিজের ভালোবাসাকে চিরতরে অন্য কারুর হয়ে যেতে দেখছে সে। নীল পাখিকে শতবার ডেকেও ‘দুষ্টু’দের দলে ভিড়িয়ে দিতে ব্যর্থ নোয়া। রাজার মনেও প্রশ্ন, ‘নীল পাখি তোমার কী হয়েছে?’ যদিও সেই প্রশ্নের উত্তর কাউকে দেয়নি সে।
দেশের মাটির শনিবারের এপিসোডে নিজের মন খারাপের কথা নোয়ার কাছে স্বীকার করে নেবে নীল পাখি। যে জানাবে একতরফা ভালোবাসার জেরেই মন ভেঙেছে তাঁর। যা শুনে তাজ্জব নোয়া। নীল পাখি (সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়) জানায়, ‘ভালোবাসার একটি সৌরভ আছে, যার জানার হয় সে এমনি জেনে যায়। এ ব্যাপারে জেনেও লাভ নেই। কারণ আমি তার সঙ্গে সংসার করতে পারব না। সে অন্য কাউকে ভালোবাসে’। ননদের মুখে এই কথা শুনে চমকে যায় নোয়া। সে তাঁকে আশ্বস্ত করে বলে, ‘তোমার বৌদিভাই তোমায় বলছে, তুমি এই বিষয় নিয়ে একদম মন খারাপ করবে না। তোমার জীবনে এমন একজন মানুষ আসবে সে তোমাকেই ভালোবাসবে’।
নীল পাখির সেই ভালোবাসার মানুষ আর কেউ নয়, বরং রাজা তা আগেই আঁচ করেছে নোয়া। বৌদিভাইকে নীল পাখি আরও জানায়, ‘ওকে যে আমি ভালোবাসি, সেই ভালোবাসায় সুখ আছে।সেটা আমার ভালোবাসার সুখ। সব সম্পর্ক যে পরিণতি পাবে তার তো কোনও কথা নেই বল’।
নিজের খারাপ লাগার কথা নীল পাখিকে জানিয়েও নোয়া বলে, ‘তুমি কি স্বরূপনগরের কাউকে ভালোবাসো?’ এই প্রসঙ্গে এড়িয়ে যায় নীল পাখি। কিন্তু নোয়ার বক্তব্য, স্বরূপনগর সাজানোর লড়াইয়ে নীলপাখিকে সে পাশে চায়। তাই কোনওভাবেই এই একতরফা ভালোবাসার কথা ভেবে যেন স্বরূপনগর ছেড়ে বিদেশে ফিরে যাওয়ার কথা না ভাবে সে।
রাজার প্রতি নীল পাখির এই টান অজানা নয় মাম্পির। এই ভালোবাসার সৌরভ থেকে একদম দূরে রাজা সেটাও বলা যাবে না। তবে রাজা-মাম্পির বিয়ের পর নতুন টুইস্ট আসবে ‘দেশের মাটি’র গল্প? রাজাকে কোনওদিন নিজের মনের কথা জানাবে নীল পাখি? রাজা-মাম্পির সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে কী নীল পাখি কোনও প্রভাব ফেলবে? তা জানা যাবে ধারাবাহিকের আসন্ন এপিসোডগুলিতে।