বিয়ের পর গানে-আড্ডায় কালরাত্রি কেটেছে রাজা-মাম্পির, এবার পালা বৌভাতের। রিসেপশনের দিন দুপুরে নিজের হাতে ভাতের থালা মাম্পিকে তুলে দিল রাজা। এই দৃশ্যই উঠে আসবে বুধবারের এপিসোডে কিন্তু ভাত-কাপড়ের অনুষ্ঠানেও হুলুস্থুলু কাণ্ড প্রণামকে ঘিরে! রাজাকে সে প্রণাম করতে পারবে মা ঠাম্মিকে জানিয়ে দেয় মাম্পি। পালটা ঠাম্মি রাগী রাগী মুখ করে বলে, ‘তোমরা পড়ালেখা জানা মেয়েরা মাথা নোয়াতেই জানো না’। ভাত-কাপড়ের দায়িত্ব দেওয়ার সময় বেশ রোম্যান্টিক মুডেই রাজা বলল, ‘আমি জানি তুমি যথেষ্ট যোগ্য, তবুও আজ থেকে আমি তোমার সব দায়িত্ব নিলাম’।
এই দৃশ্য থেকে পরিবারের সকলে খুশি হলেও হাসি নেই নীলপাখির মুখে। মনমরা হয়ে এক কোণে দাঁড়িয়ে নিজের ভালোবাসাকে চিরতরে হারিয়ে যেতে দেখে একটু একটু করে কেঁদে উঠছে সে। তবুও মুখ ফুটে নিজের মনের কথা কাউকেই বলতে পারছে না। শুরুতে রাজাকে প্রণাম না করতে চাইলেও মন বদলে সামাজিক রীতি মেনে স্বামীর পায়ের ধুলো নিতে উদ্যোগী হয় মাম্পি, রাজার বাধা সত্ত্বেও ডোডো ধরে বেঁধে এই রীতি পূরণ করায়।
নীল পাখির মন খারাপ নজর এড়ায়নি বড়মা'র। প্রশ্ন করলেও উত্তর দেয় না সে, জানায়- ‘কিছু হয়নি’। মনে মনে বড়মা-র আর্জি 'এই মা মরা মেয়েটাকে তুমি ভালো রেখো ঠাকুর'। রাজাকে হারানোর দুঃখ ভুলে সত্যি কি জীবনে এগিয়ে যেতে পারবে নীলপাখি? নাকি স্বরূপনগরে তাঁর উপস্থিতি রাজা-মাম্পির নতুন সংসারে কাঁটা হয়ে দেখা দেবে? তা নিয়ে চিন্তায় দেশের মাটি-র ভক্তরা। তবে রাজা-মাম্পির ফুলসজ্জার হাতে কী ঘটবে সেই নিয়েও এক্সসাইটমেন্ট রয়েছে 'রাম্পি' ভক্তদের।