ছোটপর্দায় 'ত্রিনয়নী' ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। শহরতলি থেকে আসা মেয়েটা একের পর এক ধারাবাহিকে সুযোগ পেয়েছেন নিজের অভিনয় দক্ষতার জোরেই। গায়ের রঙ কালো তাই নিয়ে লাগাতার নেটিজেনের একাংশের কাছে বর্ণবৈষম্যের শিকার তিনি অভিযোগ। এমনকী সম্প্রতি তাঁরই এলাকার এক মহিলা হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছিলেন, অভিনেত্রী নাকি শরীরের বিনিময়ে ‘কাজ’ জোগাড় করেন। সঙ্গে সঙ্গে শ্রুতির সমর্থনে শুরু হয় প্রতিবাদ।
বর্ধমান কাটোয়ার মেয়ে শ্রুতি দাস। একজন পরিচিত বাসিন্দা অভিনেত্রীকে অশ্রাব্য কটূক্তি করেন। বিষয়টি শ্রুতিরও নজরে আসে। খোঁজ নিয়ে শ্রুতি জানতে পারেন, ওই মহিলা কাটোয়ারই বাসিন্দা। প্রথমে বাড়ির লোকের কথা শুনে অভিযোগ দায়ের করা নিয়ে একটু ধন্ধে ছিলেন। কিন্তু পরে বোঝেন এই সব কুরুচিকর ঘটনা আটকাতে তাঁকে কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে। আর তারপরই ট্রোলারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হিসেবে লালবাজা সাইবার অপরাধ দমন শাখায় মেল করে অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেত্রী। অভিযোগ জানাতে কলকাতা পুলিশের অফিশিয়াল পেজেও ট্যাগ করে সবিস্তারে বিষয়টি জানান। সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। তবে ইমেলে কিছু তথ্য সেখানে না থাকায় শনিবার কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার কয়েকজন অফিসার শ্রুতির বাড়িতে যান। কথা বলেন বিশদে।
বর্তমানে জনপ্রিয়া বাংলা ধারাবাহিক 'দেশের মাটি'তে নোয়ার চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। কিয়ান ও নোয়ার রসায়ন মন কেড়েছে অনেকেরই। কিন্তু, বেশ কিছু দর্শকের মত, কিয়ান-নোয়া নয়, 'দেশের মাটি'-র অন্যতম আকর্ষণ রাজা ও মাম্পি। আর তারপর থেকেই আরও বেশি ব্যক্তিগত আক্রমণ চলতে থাকে। গায়ের রং থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন অর্থাৎ তাঁর প্রেমিক, পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারকে নিয়েও চলে সমালোচনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের ট্রোলিং নিয়ে এর আগেও মুখ খুলেছেন নশ্রুতি। অভিনেত্রীর মত, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক মন্তব্য চোখে পড়ে, যেগুলি করা হয় গায়ের রং বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা, বেশিরভাগ সময়েই এর কোনও প্রতিবাদ হয় না। আমার মনে হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের মন্তব্য যাতে বন্ধ হয় তার জন্য নির্দিষ্ট আইন থাকা উচিত।'