প্রথম প্রেম কাঙ্ক্ষিত পরিণতি সবসময় পায় না। কিন্তু যদি ভালোবাসা সব বাধার সিঁড়ি পার করে যায় তাহলে আপনি সপ্তম স্বর্গে বাস করবেন সেটাই তো স্বাভাবিক। তেমনটাই হচ্ছে রাজা-মাম্পির ক্ষেত্রে। কার্যত মৃত্যু মুখ থেকে ফিরে এসেছে রাজা, এখন তাঁর জীবনে খুশির জোয়ার। মাম্পি তাঁকে আপন করে নিয়েছে, সব ভুল বোঝাবোঝি মিটে গেছে। একদিকে যেমন প্রেমের পূর্ণতার আনন্দ, তেমনই চিরতরে মনের মানুষকে হারিয়ে ফেলে চোখের কোণ ভিজছে নীল পাখির।
ইতিমধ্যেই মুখোপাধ্যায় বাড়িতে ঘরের বউ হয়ে এসেছে বাড়ির মেয়ে। কালরাত্রির দিন বালিশ মাঝে রেখে উলটো দিকে বসে মনের কথা মন খুলে বলল রাজা। সকলের সামনে হাটে হাঁড়ি ভেঙে তাঁর ঘোষণা, বহুদিন আগেই মনে মনে মাম্পির একটা নাম দিয়ে রেখেছে। গান গেয়ে সেই নাম প্রকাশ্যে জানান সে। নচিকেতার কথা ধার করে বলল- ‘সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা’। রাজার কল্পনায় মাম্পি যে নীলাঞ্জনা তা জেনে হয়রান সকলে। ডোডো তো বলেই ফেলল- ‘এতোদিনে বুঝলাম তুই এই গান এতো ভালো কেন গেয়ে থাকিস, আর বারে বারে গেয়ে থাকিস’।
যদিও নীল পাখির আচরণে কিছুটা সন্দেহ জাগে সকলের মনে। পরিবারের আড্ডার আসর থেকে নিজেকে সরিয়ে সে জানায়, ‘আমার খুব ঘুম পেয়েছে, আমি আসি’। নীল পাখি এখানেই থাকবে কিনা সেই প্রশ্ন মাম্পি ঠাম্মির কাছে রাখে। নিজেই প্রশ্নের উত্তর দেয় নীল পাখি। সে জানায়, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম এখানেই থাকব। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সিদ্ধান্তটা পালটাতে হবে… ব্যাঙ্গালোরেই ফিরে যেতে হবে’।
নীল পাখি নিজের কথার ভঙ্গিতে স্পষ্ট করে দেয়, তাঁর এখানে উপস্থিতি অনেকের অপছন্দের কারণ হতে পারে, ইশারাটা যে মাম্পির দিকে তা অবশ্য মাম্পি নিজেই আঁচ করে নেয়। নোয়াও অনেকটাই পরিষ্কার, নীল পাখির মন কেমনের কারণ আসলে কী!
সত্যি কি নীল পাখি স্বরূপনগর ছেড়ে চলে যাবে? রাজা কি কোনওদিন নীল পাখির এই ভালোবাসার কথা জানতে পারবে? রাজা-মাম্পির সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে কী নীল পাখি কোনও প্রভাব ফেলবে? তা জানা যাবে ধারাবাহিকের আসন্ন এপিসোডগুলিতে।