শিবুর চক্রান্তে সংকটে কিয়ানের জীবন! কার্যত দিশেহারা মুখোপাধ্যায় পরিবার। রাজা-মাম্পির বিয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই বিপদের কালো মেঘ ঘিরে ধরেছে সকলকে। মৃত্যুর সঙ্গে কিয়ানের সংগ্রাম দেখে জ্ঞান হারিয়েছে নোয়া। পরিবারের অগোচরেই শিবুর থেকে প্রতিশোধ নিতে সটান তাঁর বাড়িতে হাজির হয় নোয়া। সেখানে সোজা তাঁর বেডরুমে ঢুকে একের পর এক খাঁড়ার ঘা দিয়ে শিবুকে রক্তাক্ত করে নোয়া। তাঁর মুখে একটাই আলাপ, 'তুমি সারাজীবন অনেকের অনেক ক্ষতি করেছো, আর কারুর সর্বনাশ করতে পারবে না'।
শিবুর বাবা-মা'র সামনে চিত্কার করে সে বলে, 'আপনাদের ছেলেকে না আমি পুরো শেষ করে দিয়েছি'। বলেই অট্টহাস্যে ফেটে পড়ে সে! নিজের পরিণতি সম্পর্কেও সে ওয়াকিবহাল নয়, তেমনটা নয়। আজীবন জেলে কাটাতে প্রস্তুত সে, বলে 'আমার আজীবন জেলে কাটবে কিন্তু স্বরূপনগরের মানুষগুলো তো বেঁচে যাবে'। অন্যদিকে রাজা চিকিত্সায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছে কিয়ান। যদিও সেই সম্পর্কে কিছু জানে না নোয়া, বৃহস্পতিবারের এপিসোডে দর্শক দেখবে সেই সিকুয়েন্স। শিবুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়ে নোয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে শিবুর বাবা।থানায় গিয়ে রীতমতো 'স্বরূপনগর জ্বালিয়ে দেওয়ার' হুমকি দেন তিনি।
দেশের মাটি'র আসন্ন ট্র্যাক ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। সিরিয়ালের নতুন প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে বাড়িসুদ্ধ লোকের সামনে নোয়াকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এই ট্র্যাক অবশ্য দর্শকদের চোখে বেশ অস্বস্তিকর ঠেকেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় 'প্রতিবাদী নোয়া'র লাগামছাড়া প্রতিবাদ দেখে অনেকেই লিখেছেন, ‘যাত্রাপালা বন্ধ করুন আর নেওয়া যাচ্ছে না’। কেউ লিখেছেন, ‘স্টোরিলাইন যেই একটু ভালো দিকে যায়, সেই এদের শান্তি হয় না, আবার টেনে টেনে বস্তাপচা স্টোরি নিয়ে আসে’। অসুস্থ বরকে হাসপাতালে ফেলে কে প্রতিশোধ নিতে দৌড়ায়? এমন প্রশ্নও দর্শকরা করছেন নির্মাতাদের উদ্দেশে।
পাশাপাশি রাজা-মাম্পির ভক্তরাও রীতিমতো ক্ষুদ্ধ নতুন প্রোমো দেখে। তাঁদের কথায়,'রাজা মাম্পির ট্র্যাক শেষ হয়ে নোয়ার ট্র্যাক আসতেই নতুন প্রোমো? বুঝতে পেরেছি রাম্পি স্লট পাওয়ায় আপনাদের ভারী দুঃখ হয়েছে... কোনো চিন্তা করবেন না এমনিতেই এই জঘন্য নোয়ার প্রতিশোধ দেখে আবার স্লট হারাবেন..১০০%গ্যারান্টি... আগাম শুভেচ্ছা'।
আইনের পথে সুবিচার না চেয়ে নোয়ার নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত সেই বিতর্ক নিয়েও উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া।