বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস দলের অন্দরে এক নতুন নাটক! আর তা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই সৈনিক একে-অপরের সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত। নিশ্চয়ই নতুন করে বলে দিতে হবে না আর এঁরা কারা! একজন কুণাল ঘোষ, অন্যজন দীপক অধিকারি ওরফে দেব।
মঙ্গলবারের হাই ভোল্টেজ ড্রামা শুরু হয় যখন কুণাল ঘোষ শিবপ্রসাদ-নন্দিতার বহুরূপী সিনেমার ট্রেলার শেয়ার করেন। সঙ্গে লেখেন, ‘সফল হোক বহুরূপী। শুভেচ্ছা শিবপ্রসাদ।’ বলা রাখা ভালো, পুজোয় টলিউড থেকে ৩টে ছবি মুক্তি পাচ্ছে, বহুরূপীর সঙ্গে টক্কর টেক্কা আর শাস্ত্রীর। এরমধ্যে দুটিই সেই হিসেবে কুণাল ঘোষের বিরোধী পক্ষর। এক তো এক দলের হয়েও দেবের সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। আর শাস্ত্রীতে রয়েছেন মিঠুন, যাকে উঠতে বসতে কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েন না তৃণমূলের মুখপাত্র।
তবে এবার দেখা গেল, কুণাল ঘোষ ‘বহুরূপী’র ট্রেলার শেয়ার করতেই, দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মিম পোস্টার শেয়ার করে নেন। সেখানে লেখা বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখে নোবো। আর তা শেয়ার করে লেখা, ‘দেখ হোক @KunalGhoshAgain’। এর কিছুক্ষণ পর জবাব এল কুণালের থেকে। তিনিও একটি ছবি শেয়ার করলেন তাঁর ও দেবের। সেখানে সেখা, ‘বৃহস্পতিবার দেবকে দেখে নেব’। আর ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘দেখা যাবে, খেলা হবে’।
আরও পড়ুন: ‘মা-বাবার জন্য নিজের বাড়ি বানাব’, সারেগামাপা-য় অঙ্কনার স্বপ্ন মুগ্ধ করল আবিরকে
এরপর আবার নিজের ও দেবের টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে কুণাল ঘোষ ফের লিখলেন, ‘দেবের টুইট। আমার টুইট। যা হওয়ার হয়ে যাক।’
আরও পড়ুন: হ্যাক করা হল রাজ চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্ট, সাইবার ক্রাইমে দ্বারস্থ পরিচালক-বিধায়ক
যদিও এসব দেখে এখন নেট-নাগরিকদের মনে প্রশ্ন, এসবই দুজনের গটআপ নয় তো। টেক্কার প্রোমোশনের কৌশল! এক ব্যক্তি মন্তব্য করলেন, ‘একজন আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সাড়ে ৩ বছরের জেল খাটা আসামী… আরেকজন গোরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত, কেসটা ঝুলে আছে। এরাই মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে নাটক করে।’ দ্বিতীয়জন লিখলেন, ‘এদের খালি টিআরপি-র ধান্ধা’। তৃতীয়জন আবার লিখলেন, ‘একটা দেবের টুইট, অন্যটা জানোয়ারের টুইট।’
আরও পড়ুন: ‘আমি নরম বিছানায়, আর ও…’! জন্মদিন বর স্বর্ণেন্দু করলেন বিশেষ কাজ, প্রশংসায় ভরালেন শ্রুতি
তবে আরজি করের ঘটনার পর দেবের ‘ভালো রাজনীতিবিদ’ ইমেজে একটু হলেও কালি পড়েছে। এক তো যখন গোটা বাংলা প্রতিবাদে উত্তাল, তখন ঘাটালের সাংসদ বিদেশে বান্ধবী রুক্মিণীর সঙ্গে বসে ছবি পোস্ট করছিলেন ছুটি কাটানোর। যার কারণে চুড়ান্ত ট্রোল হন। কলকাতায় ফিরে, প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন একদিন। তবে সেখানেও তিনি ধর্ষণে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বা ফাঁসির উপরেই জোর দিয়েছেন। আরজি করের দুর্নীতি, শাসক দলের উপর আসা প্রমাণ নয়ছয়ের অভিযোগ, কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে থেকেছেন চুপ। যা দেবের অনেক ভক্তদেরই খুব একটা ভালোলাগেনি। এখন দেখার, টেক্কার ব্যবসাতেও তার ছাপ পড়ে কি না!