তিনি টলিগঞ্জের সুপারস্টার। তিনি ঘাটালের সাংসদ। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে ভালোবাসার মানুষদের কাছে তিনি রাজু। কথা হচ্ছে দেবের। স্টারডমের শিখরে থেকেও শিকরের সঙ্গে কেমনভাবে জুড়ে থাকতে হয় সেটা ভালোভাবেই জানেন তিনি। আর সেই শিকরের খোঁজে শত ব্যস্ততার মধ্যেও সময়বার করে সপরিবারে দেব পৌঁছে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের খেরওয়াড়িতে। বান্দ্রা স্টেশন ঘেঁষা এই মধ্যবিত্ত কলোনিতেই দেবের ছেলেবেলা কেটেছে।
বুধবার ছিল দেবের মা, মৌসুমী অধিকারীর জন্মদিন। এদিন মুম্বইয়ের খেরওয়াড়ির পুরোনো বাড়িতেই কেক কেটে চলল মায়ের জন্মদিন পালন। সেই ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে নিয়েছেন দেব।
পোস্টের ক্যাপশন হিসাবে দেব লিখলেন,'মায়ের জন্মদিন.. আমরা লড়াই করি,ঝগড়া করি,আমরা ভালোবাসি, আমরা পরোয়া করি, আমাদের মন খারাপ হয়.. কথা বন্ধ হয়ে যায়.. কিন্তু আবার আমারা লড়াই করি, ঝগড়া করি..এটাই আমার মা..আমার সাহস, আমার শক্তি, আমরা আর্শীবাদ। এটা আমাদের বাড়ি যেখানে আমি আমার ছেলেবেলা কাটিয়েছি'।
এই ভিডিওতে দেবের পাশাপাশি দেখা মিলেছে তাঁর বাবা গুরুপদ অধিকারী এবং বোন দীপালি অধিকারীও। ভিডিওতেও মা-ছেলের খুনসুটির ছবি ধরা পড়ল। কেক খাওয়ানোর সময় মায়ের মুখে ক্রিম লাগিয়ে দিলেন ছেলে। ব্যাস রেগে লেগেন মা! কড়া হুঁশিয়ারি 'মুখে ক্রিম লাগাচ্ছিস কেন'?
দেবের জন্ম কেশপুরের মহেশখালিতে ঠিকই তবে কর্মসূত্রে দেবের বাবা মুম্বইতে থাকতেন। তাই দেবের বড় হয়ে ওঠাটা মায়ানগরী মুম্বইয়ে। বান্দ্রার পুরুষোত্তম হাই স্কুল ও পরে পুনের বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয় হতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন দেব। তাই স্মৃতির সরণি বেয়ে গোটা অধিকারী পরিবার পৌঁছেগিয়েছিল মুম্বই। সেখানেই স্মৃতি রোমন্থন করলেন তাঁরা সকলে।
২৫ দিন পার করে বক্স অফিস এখন রমরমিয়ে চলছে সাঁঝবাতি। অন্যদিকে দেব আপাতত ব্যস্ত রয়েছেন নিজের পরবর্তী রিলিজ টনিক নিয়ে যা মুক্তি পাবে ৮ মে। এছাড়াও নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর বায়োপিক গোলন্দাজের জন্যও নিয়মিত ফুটবল প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন দেব।